• কোচবিহারে তৃণমূল কর্মীকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার দুই
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • এক তৃণমূল কর্মীকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সঞ্জয় বর্মণ (৩৭)। একটি প্লাইউড মিলে কাজ করতেন তিনি। সঞ্জয়ের ভাই মিঠুন বর্মণ দাদার খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন – অজয় বর্মণ ও মন্টু বর্মণ।

    শুক্রবার সকালে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পৌঁছান তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, ‘যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক তৃণমূল কর্মীদের খুন করা হচ্ছে, এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক।’ পুলিশ অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে জোরপাটকি এলাকায় মনসা পুজোর নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। সেই সময় ওই পুজোর বাড়িতে দুই ব্যক্তির মধ্যে অশান্তি চলছিল। সঞ্জয় মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলতেই অভিযুক্ত অজয় বর্মনের রাগ গিয়ে পড়ে তাঁর উপর।

    ধারালো অস্ত্র দিয়ে অজয় কোপাতে শুরু করেন সঞ্জয়কে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন যুবক। তড়িঘড়ি আহত সঞ্জয়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সত্যিই কি ঝামেলা থামাতে যাওয়ার কারণেই এই পরিণতি? নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য কোনও রহস্য, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    মৃত তৃণমূল কর্মীর কাকা ক্ষিতীন্দ্রনাথ বর্মণ অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইপোকে পরিকল্পনা করেই এমন নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরেশচন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বচসা থামাতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। দুষ্কৃতীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

    কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছি। একজনের নাম মন্টু বর্মণ এবং আরেকজন অজয় বর্মণ। ফুটেজে দেখা যায়, সঞ্জয় বর্মণের সঙ্গে তাঁদের কোনও বিষয় নিয়ে বচসা হয়। তার জেরেই হামলা চালানো হয়। তাঁর মাথায় ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)