স্কুলের শৌচাগারে শিশুপুত্রের জন্ম দিল নবম শ্রেনির ছাত্রী! চাঞ্চল্য এলাকায়
প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে থাকাকালীন আচমকাই পেটে অসহ্য ব্যথা। আর তারপর স্কুলের শৌচাগারেই শিশুপুত্রের জন্ম দিল এক কিশোরী। এমনই এক ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং পকসো আইনে এফআইআর দায়ের হয়েছে চার জনের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সুস্থ আছে মা এবং শিশু দু’জনেই। কর্নাটকের ইয়াদ্গিরির এক স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২৭ আগস্ট দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই নাবালিকার সহপাঠী স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানায়। কিশোরী ও সদ্যোজাত দু’জনকেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাবি, শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই নাকি স্কুলে অনিয়মিত ছিল ওই নাবালিকা।অভিযোগ, প্রায় ন’মাস আগে যৌন হেনস্থার শিকার হয় সে। যদিও, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনা এবং অভিযুক্তের কারওর বিষয়েই কিছুই জানাতে চায়নি নির্যাতিতা। নাবালিকার দাবি, স্কুলের শৌচাগারে সে পেটে অসহ্য ব্যথা অনুভব করে। তারপর সেখানেই সন্তানের জন্ম দেয়। কর্নাটকের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে।
তদন্তে ২৮ বছরের এক তরুণের নাম উঠে আসছে বলে পুলিশের দাবি। ওই ছাত্রী সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ অথবা নাবালিকার দাদা কেউই ঘটনার কথা পুলিশকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি। হোস্টেলের ওয়ার্ডেন, স্কুলের অধ্যক্ষ, স্টাফ নার্স এবং নাবালিকার দাদার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং পকসো আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পাশাপাশি, কর্নাটক রেসিডেন্সিয়াল ইন্সটিটিউশন সোসাইটি ওই স্কুলের চার কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন স্কুলের অধ্যক্ষ, হোস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং দুই শিক্ষক। তাঁদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ, নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ছাত্রীদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করা হয়নি।