গণধর্ষণের শাস্তি ২০ বছরের কারাবাস, কল্যাণী কাণ্ডে সাতজনকে সাজা দিল আদালত
প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
সুবীর দাস, কল্যাণী: কল্যাণী গণধর্ষণ কাণ্ডে দশ মাসে বিচার শেষ। গৃহবধূকে গণধর্ষণে দোষী সাতজনকে ২০ বছরের কারাবাসের সাজা শোনাল কল্যাণী মহকুমা আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই ঘটনায় একজনকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত। দোষীদের শাস্তিতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার।
ঘটনা ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবরের। নদিয়ার কল্যাণী থানার অন্তর্গত কল্যাণী-বারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের (Kalyani-Barrackpore Expressway Incident) রেল ব্রিজের নিচে এক বিবাহিতা তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আটজনের বিরুদ্ধে। সেসময় কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্তে নামে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। ঘটনাস্থলে থেকে ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৮ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া এগোয়।
এই মামলা নিয়ে সরকারি আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, ১০ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন নির্যাতিতা নিজে এবং তাঁর স্বামী। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনার ভিত্তিতে অবশেষে দশমাস পর, বৃহস্পতিবার আটজনের মধ্যে ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কল্যাণী মহকুমা আদালত। শুক্রবার বাকিদের আদালতে পেশ করা হয়। সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০/১, ৭৮/২, ৩৫১/২ ধারায় মামলা হয়েছে যা গণধর্ষণ, পিছু ধাওয়া, অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য প্রযোজ্য। এর মধ্যে গণধর্ষণের ধারায় ২০ বছরের কারাবাসের সাজা হয়েছে অপরাধীদের। সেইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। এছাড়া বাকি ধারাগুলিতে ২ থেকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের সংস্থান রয়েছে। তবে এই মামলায় কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা রাহুল রায় ওরফে অমিত নামে একজনকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে কল্যাণী আদালত।