• ‘CBI আসায় কোনও খেদ নেই’, আর জি কর দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পর দাবি অতীনের
    প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়ি থেকে বেরল সিবিআই। এরপর শ্যামবাজারের বাড়ির সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অতীন। তাঁর দাবি, সিবিআইয়ের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। 

    বাড়ি থেকে সিবিআই বেরনোর পর অতীন ঘোষ বলেন, “ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৭৯ ধারা অনুযায়ী নোটিস অফ উইটনেস পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় এমএলএ হওয়ার সূত্রে আমি আর জি করের রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য ছিলাম। সে ব্যাপারে প্রশ্ন ছিল। আমাকে প্রশ্ন করেছিল। আমি সব উত্তর দিয়েছি। ওরা বলেছে ৫০০-৬০০ লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। একজন নাগরিক হিসাবে আমাদের সহযোগিতা করা উচিত, করেছি। বছরে ৩-৪টে বৈঠক ছাড়া আর কোনও ভূমিকা ছিল না আমার।”

    আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শাসক শিবিরের নেতা-মন্ত্রীদের কালিমালিপ্ত করতে বাড়িতে সিবিআই হানা, রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ইস্যুতে অতীনের বক্তব্য, “আমার বাড়িতে সিবিআই আসায় কোনও খেদ নেই। নিয়ম অনুযায়ী সিবিআই সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারেন। আর আমার রাজনৈতিক চরিত্র সকলের জানা। আমি গত ১৫ বছর ধরে কলকাতা পুরসভায় মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দায়িত্ব সামলাচ্ছি।” অতীনের আরও দাবি, “আরও অনেকেই রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য ছিলেন। তাঁদেরও হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”

    উল্লেখ্য, আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তে নেমে সামনে আসে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এই মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলায় চার্জগঠন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আলিপুর আদালতে এখনও চলছে সেই মামলা। ওই মামলার তদন্তে সিবিআই স্ক্যানারে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্যরা। ওই কমিটিতে ছিলেন অতীন ঘোষও। এর আগে শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতেও হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁরাই এদিন নথিপত্র হাতে অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা দেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)