১০০ কোটির বেআইনি সম্পত্তি! রাজ্যের পরিচিত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নালিশ শাহকেও
প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গ বিজেপির পরিচিত মুখের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগ নিয়ে জল গড়াল অমিত শাহের মন্ত্রক পর্যন্ত। অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, নথিপত্র পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা বিজেপির ওই অভিযুক্ত মুখ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও অচেনা নন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে পাঠানো তথ্য-নথির শেষ দিকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডাদের নজরে আনা হয়েছে।
অভিযোগকারীর তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রথমত, তহবিলের উৎসের তদন্ত করা হোক। দুই, দল ও দলের ক্ষমতা বা পদ ভাঙিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থের ওই সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানো হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হোক। তিন, এই সব দলের ব্যক্তিত্বদের মাথার উপর থাকা লোকজনের ভূমিকাও যাচাই করে দেখার দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ, রাজ্য বিজেপির ওই পদাধিকারীকে যাঁরা রক্ষা করছেন, এই বেআইনি সম্পত্তি অর্জনে সেই শীর্ষ নেতাদের কোনও যোগ আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখা উচিত বলে শাহ-নাড্ডাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী ও বিজেপি কর্মী।
রাজ্য বিজেপির ওই পরিচিত মুখের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জমি ও সম্পত্তি কেনার অভিযোগ তুলে দলেরই এক সদস্য তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডির কাছে। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহর দপ্তরেও তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও। এই অভিযোগের জল বহু দূর গড়াতে চলছে বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ।
বিজেপির শীর্ষ পদে থাকা যাঁরা ওই পরিচিত মুখের সঙ্গে আছেন, তাঁদের নাম করেও নির্দিষ্ট অভিযোগ গিয়েছে শাহ-নাড্ডার কাছে। অভিযোগপত্রে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, রাজ্য বিজেপির ওই পরিচিত মুখ ও তাঁর নিকটাত্মীয় গত তিন বছরে, অর্থাৎ ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিপুল ঋণগ্রস্ত থেকেও ১০০ কোটিরও বেশি মূল্যের জমি ও সম্পত্তি কীভাবে কিনেছেন? এই প্রবণতা তহবিলের উৎসের বৈধতা ও সম্ভাব্য স্বার্থসংঘাত সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্রার্থী হওযার আগে বিজেপির ওই পরিচিত মুখ কোনও সম্পত্তি কেনেননি, অথচ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর তিনি ও তাঁর নিকটাত্মীয় প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন। বিশাল অঙ্কের বকেয়া ঋণ থাকা সত্ত্বেও একাধিক প্রচুর দামী সম্পত্তি কিনেছেন তাঁরা।