দেরাদুন: লাগাতার বৃষ্টিত ফের বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। শুক্রবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হয় উত্তরাখণ্ডের একাধিক জেলা। তার জেরে ধস নামে। ভেঙে পড়ে একাধিক ঘরবাড়ি। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, তেহরি ও বাগেশ্বর জেলা। এখানকার অধিকাংশ গ্রাম কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মাটির নীচে চাপা পড়ে আছে বহু পরিবার। সুতরাং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চলছে। বাবা কেদারের কাছে প্রার্থনা, সকলকে সুস্থ রাখুন।’ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একযোগে উদ্ধারে নেমেছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ডিডিআরএফ ও রাজ্য পুলিস। যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। উত্তরাখণ্ড স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ইউএসডিএমএ) জানিয়েছে, টানা বৃষ্টিতে বাগেশ্বর জেলার পৌসাড়ি গ্রামে অন্তত ডজনখানেক বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। অনেকে নিখোঁজ। একই অবস্থা চামোলির মোপাটা গ্রামের। একাধিক বাড়ি ও গোয়ালঘর ধসে গিয়েছে এখানে। রুদ্রপ্রয়াগে একাধিক গ্রামে ধস নেমেছে। অন্তত ৩০-৪০টি পরিবার ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছে বলেই আশঙ্কা। টানা বৃষ্টিতে বলগঙ্গা, ধর্মগঙ্গা ও ভিলাঙ্গনা নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। অলকানন্দা ও মন্দাকিনী নদীর জলস্তরও বাড়ছে। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদীর কাছে থাকা বাসিন্দাদের। সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আলুচাষের। ধসের জেরে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা অবরুদ্ধ। আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য বাগেশ্বর, চামোলি, দেরাদুন ও রুদ্রপ্রয়াগে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে চম্পাওয়াত, হরিদ্বার, পিথোরাগড়, উত্তরকাশীতে।