• সর্বত্র মন্দির-শিবলিঙ্গ খোঁজার দরকার নেই: ভাগবত
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: মানসিকতা বদলের ‘হাওয়া’ এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) অন্দরেও! সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের কথায় মিলেছে এমনই ইঙ্গিত। তিনি জানিয়েছেন, ভারতে বরাবর ইসলামের জায়গা রয়েছে। পাশাপাশি, বিজেপির সঙ্গে বিভেদের জল্পনা উড়িয়ে ভাগবতের বার্তা—অখণ্ড ভারত এমন একটি বাস্তবতা, যা কখনও পরিবর্তিত হতে পারে না। 

    বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত আরএসএসের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন সঙ্ঘ প্রধান। সেখানেই উঠে আসে ধর্মীয় আন্দোলনের প্রসঙ্গ। রামমন্দিরের কথা। কাশী ও মথুরাতেও অযোধ্যার মতো কোনও আন্দোলন হবে কি না, সে প্রশ্নও ওঠে। জবাবে সঙ্ঘপ্রধান জানান, রামমন্দির একমাত্র আন্দোলন, যেটার সঙ্গে আরএসএস যুক্ত ছিল। কিন্তু আরএসএস আর এই ধরনের কোনও আন্দোলনে অংশ নেবে না। তবে কাশী, মথুরা এবং অযোধ্যা—তিনটিই হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা অনুরোধ করলে আমাদের স্বয়ংসেবকরা এই আন্দোলনে যোগ দেবেন। তবে কাশী, মথুরা এবং অযোধ্যা ব্যতীত অন্য সব জায়গায় মন্দির বা শিবলিঙ্গ খোঁজার কোনও প্রয়োজন নেই। হিন্দুরা এই তিনটি জায়গা নিতেই পারে। সম্প্রীতির লক্ষ্যে এটা একটা বড় পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে আরএসএসের যোগদান প্রসঙ্গে বার বার সরব হয়েছে দেশের বিরোধী দলগুলি। সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন মোহন ভাগবত। জানান, আরএসএস স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানের পাশাপাশি দেশভাগেরও বিরোধিতা করেছিল। তাঁর কথায়, ‘আরএসএস দেশভাগের বিরোধিতা করেনি বললে ভুল হবে। সঙ্ঘ প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু সেই সময়ে সঙ্ঘের বিশেষ কোনও ক্ষমতা ছিল না। সারা দেশ তখন মহাত্মা গান্ধীকে অনুসরণ করছে।’ সঙ্ঘ যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাহায্য করেছিল, উদাহরণ দিয়ে তাও বোঝানোর চেষ্টা করেন ভাগবত। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)