• এসএসসিতে ‘অযোগ্য তালিকা’ আজ, নতুন প্রার্থীদের সঙ্গেই পরীক্ষায় বসতে হবে যোগ্যদের
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। তার আগেই সামনে আসবে ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের নাম। আজ, শনিবারই সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে চলা মামলার শুনানিতে সাফ জানিয়ে দিল এসএসসি। কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রায় ১,৯০০ অযোগ্য শিক্ষকের নামের তালিকা তৈরি হয়েছে। আবেদনকারীদের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন তিনি। বলেছেন, দু’-একটি নাম ভুল করে তালিকায় যুক্ত হলেও হতে পারে। তবে তা নজরে আসতেই শুধরে নেওয়া হয়েছে। এরপর একজন অযোগ্যকেও পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে কেউ অভিযোগ করতে পারবেন না। যোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে যারা ফের নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষায় বসবেন, তারা নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, উভয় ক্ষেত্রেই সুযোগ পাবেন। তাদের প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ডও ইতিমধ্যে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে আর কোনও বিতর্ক নেই। 

    এদিন বিবেক পারিয়া সহ অন্যান্য বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র মিশ্রর বেঞ্চে। এসএসসির সওয়াল শেষে বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই যেন অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে না পারে। এটা নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ শীর্ষ আদালত আগেই জানিয়েছে, কোনও অযোগ্য পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছে জানতে পারলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় বসার জন্য কেউ অনলাইনে আবেদন করতে না পারলে নথির হার্ড কপি জমা দেওয়া যাবে। 

    চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের জন্য আলাদা পরীক্ষার আর্জি জানিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। তাদের যুক্তি ছিল, আসন্ন ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন প্রার্থীদের সঙ্গেই পরীক্ষা দিলে চাকরি পাওয়ার সুযোগ কমতে পারে। কারণ, চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের প্রায় দশ বছর আগে পরীক্ষা দিয়ে নিযুক্ত হয়েছেন। ফলে এখন নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তাঁরা পেরে উঠবেন না। তাই পৃথক নিয়োগ পরীক্ষা হোক। যদিও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সেই আর্জি মানতে চাননি। শুনানির পর্যবেক্ষেণে তিনি বলেন, ‘চাকরিহারা যোগ্যরা তো বয়সের ছাড় পাচ্ছেনই। তাছাড়া তাঁরা অভিজ্ঞ। তাই পরীক্ষা একসঙ্গেই হবে, আলাদা নয়। পরীক্ষার দিনক্ষণের কোনও পরিবর্তন হবে না।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)