উৎসব মরশুমে কোচবিহার শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে বৈঠক পুরসভার
বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বাঙালির মেগা উৎসব দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এবার দুর্গাপুজো। তারপর কালীপুজো, ছটপুজো। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কোচবিহারে রাসমেলা। তাই পুজো ও রাসমেলার আগে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে কোচবিহার পুরসভা।
শুক্রবার পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক, নির্মল সাথী, গ্যারাজ কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শহরের জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা সময়ে নানান অভিযোগ ওঠে। রাস্তার পাশে বর্জ্যের স্তূপ জমে থাকা নিয়ে হামেশাই সরব হন কোনও না কোনও ওয়ার্ডের নাগরিক। বর্জ্য থেকে দূষণ ছড়ানোর মতো আকছাড় অভিযোগ পুরসভায় আসে। তাই পুজো ও রাসমেলার আগে শহর সাফ-সুতরো রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে পুরসভা। তারজন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করে কাজে নামছে তারা।
চেয়ারম্যান বলেন, উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে যাচ্ছে। সামনেই দুর্গাপুজো। তারপর কালীপুজো, ছটপুজো, রাসমেলা। পরপর উৎসব। শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা পরিকল্পনা করে এগচ্ছি। এদিন মিটিং করা হল। নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ করা, প্রয়োজনে স্পেশাল ড্রাইভও দেওয়া হবে। কোথাও যাতে জঞ্জাল না জমে সেদিকে নজর দেব। নাগরিকদের কাছে আবেদন জানানো হবে তাঁরা যাতে বাড়ির বর্জ্য নির্মল সাথীদের হাতে তুলে দেন।
কোচবিহার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ড। শহরেই আছে ভবানীগঞ্জ বাজার, নতুন বাজার, দেশবন্ধু মার্কেট সহ একাধিক বাজার। সুনীতি রোড, কেশব রোড, বিশ্বসিংহ রোড সহ একাধিক রাস্তার ধারে প্রচুর দোকান, হোটেল রয়েছে। এসব জায়গা থেকে প্রতিদিন প্রচুর বর্জ্য হয়। যা অপসারণ করতে পুরসভাকে দৈনিক কয়েকটি জেসিবি, ট্রাক্টর সহ বিরাট সংখ্যক সাফাই কর্মীকে নামাতে হয়। নিজস্ব চিত্র