• উদ্বোধনের একদশক পরেও চালু হয়নি ইসলামপুর কলেজের হস্টেল
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইসলামপুর: উদ্বোধনের একদশক পরেও চালু হয়নি ইসলামপুর কলেজের সংখ্যালঘু ছাত্রীদের জন্য তৈরি হস্টেল। নিরাপত্তার অভাব এবং অপরিকল্পিতভাবে হস্টেলটি তৈরি হওয়ায় এখানে থাকার আগ্রহ দেখান না পড়ুয়ারা। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি হওয়া এই হস্টেলটি কোনও কাজে লাগছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ইসলামপুর কলেজে একটি গার্লস হস্টেলের দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরে। ১৯৭৩ সালে তৈরি এই কলেজে বহু দূর থেকে অনেকেই পড়াশোনা করতে আসতেন। ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু ছাত্রীদের জন্য এই হস্টেলের উদ্বোধন করেন। দোতলা এই  ভবনে ২০ টি রুম আছে। ৪০ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু হস্টেলে কেউ না থাকায় সারাবছর ফাঁকা পড়ে থাকে সেটি। কোনও কোনও সময় পুলিস কিংবা প্রশাসন তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। এবিষয়ে ইসলামপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উজাইর আহমেদ বলেন, প্রতিবছর ভর্তির সময় নোটিস দেওয়া হয়। কেউ হস্টেলে থাকতে চাইলে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়। কেউ কেউ আবেদনও করে। কিন্তু পরে থাকতে আসেন না। হস্টেলে কোনও ছাত্রী থাকছে না কেন? ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কথায়, আমরা কিছু কারণ অনুসন্ধান করেছি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। হস্টেলের পাঁচিল আরও উঁচু করতে হবে। কলেজের মাঠে পাঁচিল নেই। নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এলাকার মানুষও বলছেন, হস্টেলে থাকার পরিবেশ নেই। জনবসতিহীন শুনশান জায়গায় হস্টেলটি। মাঠে পাঁচিল নেই। এই পরিস্থিতিতে কোনও ছাত্রী হস্টেলে থাকার আগ্রহ দেখায় না। 

    হস্টেলে ছাত্রী না থাকার কারণ হিসেবে স্থানীয়দের অনেকে আবার ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে, কলেজের জন্মলগ্নে শিক্ষার পরিবেশ ভিন্ন ছিল। সেসময় চোপড়া ও ডালখোলায় কলেজ ছিল না। ফলে ৪০-৫০ কিমি দূর থেকে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার জন্য ইসলামপুর কলেজে আসত। 

    পরে চোপড়া ও ডালখোলায় কলেজ হয়। এতে দূরদূরান্তের ছাত্রছাত্রীরা এখন আর সেরকম ইসলামপুর কলেজে ভর্তি হন না। ফলে সংখ্যালঘু ছাত্রীদের জন্য তৈরি এই হস্টেলটি ফাঁকাই পড়ে থাকে।
  • Link to this news (বর্তমান)