• ১০ হাজার থেকে কোটি টাকার প্রকল্প! আদিবাসীদের মাছ চাষে যুক্ত করতে এবার উদ্যোগী রাজ্য
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: আদিবাসীদের মাছচাষে যুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যের। রয়েছে ১০ হাজার থেকে এক কোটি টাকার প্রকল্প। সাইকেলে, বাইকে, টোটোতে চেপে মাছ বিক্রি হোক কিংবা কিয়স্কে বা গাড়িতে করে মাছ বিক্রি, মাছের খাবার তৈরির কারখানা, মাছ সংরক্ষণে হিমঘর নির্মাণ সবেতেই রয়েছে ঢালাও সরকারি ভর্তুকি। প্রকল্প খরচের ৯০ শতাংশ ভর্তুকি হিসেবে পাওয়া যাবে। মাত্র দশ শতাংশ টাকা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তাকে। এনিয়ে জলপাইগুড়িতে জোর প্রচারে নেমেছে মৎস্যদপ্তর। মেটেলি, ক্রান্তি, মালবাজার, নাগরাকাটা, বানারহাট সহ জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় মাইকিংয়ের পাশাপাশি চলছে লিফলেট বিলি। রাজ্যের এই প্রকল্প নিয়ে পঞ্চায়েতে আসা আদিবাসীদের বোঝানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে পাড়ায় সমাধান শিবিরে আসা মানুষজনকেও।

    জলপাইগুড়ি মৎস্য অধিকর্তা রমেশচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আদিবাসীদের মাছচাষে যুক্ত করতে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দশ হাজার থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত প্রকল্প রয়েছে। যে কোনও প্রকল্পে মোট খরচের মাত্র দশ শতাংশ বেনিফিশিয়ারিকে দিতে হবে। বাকি ৯০ শতাংশ সরকারি ভর্তুকি হিসেবে পাবেন তিনি। তাঁর দাবি, আমরা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচার করছি। লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। দুয়ারে সরকার কিংবা পাড়ায় সমাধান শিবিরে গিয়েও আদিবাসীদের প্রকল্পগুলি নিয়ে বলছি। 

    জলপাইগুড়ি জেলা মৎস্য আধিকারিক অমিত সরকার বলেন, ব্লকগুলিকে তো বলা হয়েছে, সেইসঙ্গে আমরা জেলা পরিষদকেও বেনিফিশিয়ারি দিতে বলা হয়েছে।

    জেলা মৎস্যদপ্তর সূত্রে খবর, সাইকেলে ইনস্যুলেটেড বাক্সে মাছ বিক্রির জন্য ১০ হাজার টাকার প্রকল্প রয়েছে। বাইকে ৭৫ হাজার, টোটোতে ৩ লক্ষ এবং গাড়িতে করে মাছ বিক্রির জন্য ২০ লক্ষ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মাছের খাবার তৈরির কারখানা গড়তে রয়েছে ৩০ লাখি প্রকল্প। মাছের হিমঘর নির্মাণের জন্য প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা। ২৫ লক্ষ টাকায় রয়েছে হ্যাচারি তৈরির প্রকল্প। রঙিন মাছ চাষের জন্য রয়েছে ৩-৮ লাখের প্রকল্প। ড্রাম বা পুকুরে বায়োফ্লক তৈরি করে মাছ চাষের জন্য ৮-২৫ লক্ষ টাকার প্রকল্প রয়েছে। 

    আদিবাসী অর্থাৎ তফসিলি উপজাতি ছাড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের জন্য প্রকল্প খরচের উপর সরকারি অনুদান মিলবে ৬০ শতাংশ। প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আদিবাসীদের তরফে এখনও সেভাবে আবেদনপত্র জমা না পড়লেও অন্য সম্প্রদায়ের উপভোক্তারা যথেষ্টই আগ্রহ দেখাচ্ছেন এনিয়ে। সহ মৎস্য অধিকর্তার দাবি, গত তিন বছরে জলপাইগুড়ি জেলায় বঙ্গ মৎস্য যোজনায় ৮০টির মতো প্রকল্প শেষ হয়েছে। সরকারি ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)