সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টির জেরে শিরিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ির বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সিপাহীপাড়ার বেহাল রাস্তায় জল জমে পুকুরের চেহারা নিয়েছে। জাতীয় সড়কের ধারে ফুলবাড়ি হাইস্কুলের মাঠ জলের তলায় চলে যায়। জলভেঙেই শুক্রবার স্কুলে ঢুকতে হয় পড়ুয়া, শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এর পাশাপাশি এদিন সকালে ফুলবাড়ির চতুরাগছের খাটালবস্তিতে একটি কারখানার সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়ে। সেই প্রাচীরের তলায় লাগোয়া বাড়ির একটি টোটো ও গবাদিপশু চাপা পড়ে। এদিন সকালে স্কুলে এসে পড়ুয়ারা চমকে যায়। স্কুলে ঢোকার রাস্তা নেই। গোটা মাঠ জলের নীচে। জলের মধ্য দিয়েই তাদের স্কুলে ঢুকতে হয়। অথচ কিছুদিন আগেই এসজেডিএ’র উদ্যোগে এই স্কুলের ভবন ও মাঠ সংস্কার করে নিকাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও এই জল জমা নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। স্কুলের টিআইসি অভিষেক রায় বলেন, এসজেডিএ’র কাজে কোথাও কোনও ত্রুটি নেই। আসলে স্কুলের সামনে ফোর লেনের কাজ আটকে আছে। তাই হাইড্র্যান্ট নেই। মূল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণেই স্কুলের জল বেরিয়ে যাওয়ার পথ নেই। তাই স্কুলের মধ্যে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আশা করি, রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পর এই সমস্যা মিটবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন স্কুলের পিছনে দেওয়াল ভেঙে জল বের করার চেষ্টা হয়েছে। তাতে সব জল বের করা যায়নি। তবে স্কুলের পঠনপাঠন, মিড ডে মিল সবকিছুই স্বাভাবিক রাখা হয়েছে বলে জানান টিআইসি।
এদিকে, চতুরাগছের খাটালবস্তির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎই একটি কারখানার সীমানা প্রাচীর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগেই সাহুডাঙির পাগালুপাড়ায় এভাবেই একটি প্রাচীর ভেঙে চাপা পড়ে দুই শিশু মারা যায়। এদিনের এই সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকলের মনে পাগালুপাড়ার স্মৃতি ভেসে ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাগ্যক্রমে তারা বেঁচে গিয়েছেন। স্থানীয়রাই গুরুতর জখম অবস্থায় চাপা পড়ে থাকা গোরুটিকে উদ্ধার করেন।