• রেজিনগর থেকে সাইবার প্রতারকদের কাছে শয়ে শয়ে ‘অ্যাক্টিভ’ সিম, ধৃত ১
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থেকে শয়ে শয়ে অ্যাক্টিভেট করা সিম নানা    জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। সেই সিম ব্যবহার করেই সাইবার প্রতারণা চলছে। এজেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম ও হুগলি জেলায় বিভিন্ন কোম্পানির চালু সিম পাচার করছে দু’তিনজন দালাল। সাইবার ক্রাইম থানার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই কারবারে যুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করল রেজিনগর থানার পুলিস।

    বৃহস্পতিবার রাতে ওই থানার লোকনাথপুরের মাঝপাড়ার বাসিন্দা মিলন শেখকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত যুবক ওই এলাকায় ‘পয়েন্ট অফ সেল’ বা পস চালাত। তার নামেই মোবাইল ও সিমের দোকান রয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে নানা কোম্পানির ৩১টি ৫জি ও ৪জি সিম উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সমস্ত সিমই চালু ছিল। ধৃতকে শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ছয়দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিস তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    পুলিস জানিয়েছে, এলাকার যে সমস্ত ব্যক্তি মিলনের দোকান থেকে সিম কিনতে আসত, তাদের নথিপত্র জাল করেই সে অতিরিক্ত সিম সক্রিয় করত। এজন্য বায়োমেট্রিক স্ক্যানারে বারবার গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে নিত। গ্রামের মানুষ ঘুণাক্ষরেও বুঝতেও পারেননি, তাঁদের এক-একজনের নামে কত সিম সক্রিয় করা হয়েছে। সেই অতিরিক্ত সিম মোটা টাকার বিনিময়ে সে প্রতারকদের কাছে পৌঁছে দিত। পুলিস আধিকারিকরা মনে করছেন, মিলন শেখের দোকান থেকে প্রতারকদের হাতে যে সিম গিয়েছে, তার মাধ্যমে নানা জেলায় অন্তত ৫০লক্ষ টাকার সাইবার প্রতারণা হয়েছে। জেলায় এই চক্রে জড়িত বাকিদের ধরতে পুলিস তদন্ত চালাচ্ছে।

    বেলডাঙার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, অভিযুক্ত যুবক বহু সিম অ্যাক্টিভেট করত। সেগুলি সাইবার প্রতারকদের হাতে তুলে দেওয়া হতো। মুর্শিদাবাদ থেকে দু’তিনজন দালাল মারফত এই সিম নানা জেলায় পৌঁছে যেত। আমরা বেশ কিছু অ্যাক্টিভ সিম সহ তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। এই চক্রে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)