নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: সেপ্টেম্বরই ডেঙ্গুর ‘পিক সিজন’। পুজোর মরশুমেই চূড়ান্ত সতর্ক হতে হবে। শুক্রবার নিজের অফিসে বৈঠক করে সবপক্ষকে এ ভাবেই সতর্ক করে দিলেন জেলাশাসক পোন্নমবলম এস। সেইল, রেল, ইসিএল, ডিভিসি সহ জেলার সব বড় প্রতিষ্ঠানগুলিকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়, পুজোর মরশুম বলে ডেঙ্গু নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। লার্ভা নিধনে স্প্রে করার পাশাপাশি ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কর্মসূচি শেষ করতে হবে। ডেঙ্গুর পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক না হলেও, জেলায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত বছর এই সময়ে পর্যন্ত ডেঙ্গু হয়েছিল ২০৩ জনের। এবার জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যা ২০০। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুস বৈঠকে জানিয়েছেন, গড়ে ১০ থেকে ১২ জন নতুন রোগীর ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও ডেঙ্গুতে এখনও কোনও মৃত্যু হয়নি।
এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল সহ জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যদপ্তর ও আসানসোল, দুর্গাপুর পুরসভার প্রতিনিধিরাও। সেখানেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির কাছে জানতে চাওয়া হয় আসন্ন একমাসে ডেঙ্গু রোধে তাঁদের কী পরিকল্পনা রয়েছে। রেল, সেইল, ইসিএলকে পৃথক পৃথক ভাবে প্রশ্ন করেন জেলাশাসক। তারা নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরে। তখনই সতর্ক করেন জেলাশাসক। বাসিন্দারা পুজোয় মেতে উঠলেও যেন মশা দমনে তৎপর থাকে তা বার বার প্রচার করে মনে করাতে হবে বলে জেলাশাসক জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, পুজো মণ্ডপগুলিতেও ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনামূলক প্রচার চালানো হবে। পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলিকেও সতর্ক থাকতে হবে যেন পাশ্ববর্তী এলাকায় কোথাও জল না জমে। -নিজস্ব চিত্র