প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ, ধৃত এক
বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে ভোজালির কোপে খুনের অভিযোগ উঠল প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের ভিতর। বিলকিস বিবি (২৮) নামে ওই মহিলার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাত ছিল। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত রোহিত গাজিকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। রোহিতের মা পলাতক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিলকিস বানতলায় একটি ট্যানারিতে কাজ করতেন। পাশে অন্য একটি ট্যানারিতে কাজ করতেন করিম। বিবাহিত হওয়ার পরেও বিলকিসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান করিম। বেশ কিছু দিন পর তাঁকে বিয়ে করেন করিম। বিষয়টি জানার পরই করিমের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ঝামেলা শুরু করে স্বামীর সঙ্গে। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। করিমের প্রথম পক্ষের স্ত্রী বিলকিসকে বলে যায়, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে। কিন্তু বিলকিস এই কথায় কান দেননি। যা নিয়ে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। করিমের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তাঁর ছেলে মিলে বিলকিসকে খুনের পরিকল্পনা করে। সেইমতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বানতলা চর্মনগরীতে হাজির হয় মা ও ছেলে। বিলকিস কাজ শেষ করে কমপ্লেক্সের মধ্যে দিয়ে যখন হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ভোজালি দিয়ে আক্রমণ করে রোহিত ও তার মা। কমপ্লেক্সের ভিতর ফেলে বিলকিসের মাথা, গলা, পিঠ সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে ২১টি আঘাত মিলেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিলকিসকে ফেলে রেখে পালায় ওই দুজন। লেদার কমপ্লেক্সের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিসে খবর দেন। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিস এসে বিলকিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তে নেমে পুলিস করিমের ফোন নম্বর জোগাড় করে ডেকে পাঠায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে বিলকিস তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে বিলকিসের মনোমালিন্য চলছিল। অনুমান, তারাই খুন করেছে বিলকিসকে। কমপ্লেক্সে থাকা সিসি ক্যামেরা দেখে করিমের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলেকে চিহ্নিত করেন করিম। রোহিতকে গ্রেপ্তার করা গেলেও পলাতক করিমের প্রথম পক্ষের স্ত্রী।