শিক্ষিত হলেই কি সে নিখাদ ভালো মানুষ? সমস্ত রকম দুর্বলতাকে অতিক্রম করে স্বার্থহীন, শর্তহীন উদারতায় কি মেনে নিতে পারে তারই নিবিড় সম্পর্কের মানুষটির সাফল্য কি়ংবা সঙ্কট? তথাকথিত শিক্ষিত পরিবারে মুক্ত ভাবনার এক মধ্যবিত্ত মহিলার ব্যতিক্রমী উত্তরণ কখনও প্রিয়জনের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। তা নিয়ে প্রমিতা ভৌমিকের ছবি ‘অহনা’ মুক্তির অপেক্ষায়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সযত্নে পুষে রাখা সংস্কার ও অভ্যাস অতিক্রম করে অহনার লেখিকা হয়ে ওঠার গল্প পর্দায় বুনেছেন প্রমিতা।
ছবিতে নাম ভূমিকায় রয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। অহনার স্বামী রুদ্রনীলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয় সেনগুপ্ত। তাঁর মতে, ‘এই ছবিতে পরিচালক তাঁর বক্তব্য নিজের মতো করে তুলে ধরেছেন। কোনওরকম অনুপ্রেরণা, অনুসরণ ছাড়া।’ নিজের অভিনীত চরিত্র নিয়ে জয়ের বিশ্লেষণ, ‘একটি সভ্য পরিবারে প্রতিদিন যে সূক্ষ মানসিক টালবাহানা চলে তা ধরা পড়েছে ছবিতে। একজন সভ্য, শিক্ষিত স্বামী, অত্যন্ত সংবেদনশীল শ্বশুরমশাইয়ের কাছ থেকে অহনাকে কী কী শুনতে হয়, তারপর সে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই ছবির উপজীব্য বিষয়। সমাজের বেশিরভাগ মানুষই আসলে মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়। রূদ্রনীল, বিমলেন্দু— এই চরিত্ররা সব ভদ্রতার আড়ালে পুষে রাখা পুরুষতন্ত্রের বাহক।’ জয়ের সংজ্ঞায় ভালোমানুষ সেই, যে ঘৃণা-হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করবে না। অভিনেতার আক্ষেপ, ‘এই হিপোক্রেসিটা সজ্জন সমাজে প্রবলভাবে রয়েছে।’