থাকতে চেয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে, ট্রেনে উঠতেই ইলেকট্রিশিয়ানের কারেন্টে মজে গেলেন তরুণী, তারপর যা হল...
আজকাল | ৩০ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পালালেন একজনের সঙ্গে, আবার বিয়ে করে ঘরে ফিরলেন অন্য এক যুবকের সঙ্গে। ঠিক যেন শাহিদ কপুর, করিনা কপুর অভিনীত ‘জব উই মেট’ সিনেমার দৃশ্য। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। জানা গিয়েছে, আচমকাই নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর এক বিবিএ কোর্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী বাড়ি ফিরে এসে দাবি করেন, তিনি ট্রেনে দেখা হওয়া এক ইলেকট্রিশিয়ানকে বিয়ে করে ফেলেছেন। ঘটনাটি অনেকটাই বলিউডের জনপ্রিয় ছবি ‘জব উই মেট’-এর গল্পের মতো। সেখানে করিনা কাপুরের চরিত্রটি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে গিয়ে রতলামে শাহিদ কাপুরের সঙ্গে দেখা করে এবং তার জীবন নতুন মোড় নেয়। নিখোঁজ ওই ছাত্রী শ্রদ্ধা পুলিশকে জানান, তিনি মূলত নিজের প্রেমিক সার্থকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
কিন্তু সার্থক নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে পৌঁছননি। তাই তিনি রতলামের উদ্দেশে ট্রেন ধরেন। ট্রেনেই তাঁর দেখা হয় করণদীপের সঙ্গে, যিনি ইন্দোরের একটি কলেজের ইলেকট্রিশিয়ান। শ্রদ্ধার দাবি, আকস্মিক এই সাক্ষাতের পরই তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। শ্রদ্ধা আরও জানান, তারা প্রথমে মান্দসৌর এবং পরে মহেশ্বরে যান। সেখানকার এক মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়। এরপর সনওয়ারিয়া সেঠ মন্দির দর্শন শেষে তিনি সরাসরি ইন্দোর থানায় ফিরে আসেন। যদিও শ্রদ্ধার এই বয়ানে সন্তুষ্ট নয় পুলিশ। তাঁকে বিয়ের সার্টিফিকেট জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে সার্থক জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে কোনও যোগাযোগই রাখেননি। শ্রদ্ধার বাবা অনিল তিওয়ারি মেয়ের বিয়ের দাবি মেনে নিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘মেয়ের কাছে টাকা পাঠিয়েছিলাম, তবুও সে করণদীপের সঙ্গেই রয়ে গেল। আমি এই বিয়ে মেনে নিতে পারছি না’।
তিওয়ারি আরও দাবি করেন, করণদীপ নিজেই তাঁকে জানিয়েছেন যে শ্রদ্ধা আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বাঁচান। তাই মেয়ের মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শ্রদ্ধার বাবা। অদ্ভুত কুসংস্কারপ্রসূত বিশ্বাসও প্রকাশ করেছেন অনিল তিওয়ারি। তাঁর দাবি, মেয়ের ছবি উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখার কারণেই শ্রদ্ধা বাড়ি ফিরেছে। এমনকি মেয়েকে খুঁজে বের করার জন্য তাঁরা ৫১,০০০ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিলেন। উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, রাত দু’টো নাগাদ মোবাইল ছাড়াই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শ্রদ্ধা। এরপর টানা এক সপ্তাহ তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। তবে সব আপত্তির পরেও অনিল তিওয়ারি স্বীকার করেন, ‘আমার মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক। যদি ও একা থাকতে চায়, কিংবা নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়, আমাদের মেনে নিতেই হবে’। ফলে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে শ্রদ্ধার ভবিষ্যৎ। বয়ান রেকর্ড করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।