ক্যান্টিনে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করেছেন কানাড়া ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, প্রতিবাদে তুলকালাম, প্রতিবাদে কী এমন করলেন কর্মীরা?...
আজকাল | ৩০ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচির কানাড়া ব্যাঙ্কের এক শাখায় তুলকালাম। বিহারের বাসিন্দা এক ব্যক্তি ম্যানেজার হয়ে কোচিতে ব্যাঙ্কের ওই শাখায় এসেছেন। এরপরই তিনি ক্যান্টিনে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করে দেন। ম্যানেজারের এই পদক্ষেপের পাল্টা অবিনব প্রতিবাদ দেখান ওই ব্যাঙ্কের কর্মীরা।
ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (বিইএফআই)-র নেতৃত্বে কর্মীরা জানায়, ম্যানেজার যে মানসিক চাপ দিচ্ছেন ও অপমানজনক আচরণ করছেন বিরুদ্ধে আগেই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গরুর মাংস নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশ্যে আসার পর মূল দাবি বদলে যায়, আন্দোলন আরও জোরদার হয়।
প্রতিবাদে মুখর বিক্ষোভকারী কর্মীরা ব্যাঙ্কের ক্যানটিনের বাইরে গরুর মাংস এবং পরোটা পরিবেশন করে বিক্ষোভ দেখান।
ফেডারেশন নেতা এসএস অনিল বলেন, "এখানে একটি ছোট ক্যান্টিন চলে এবং নির্দিষ্ট দিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা হয়। ম্যানেজার ক্যান্টিনের কর্মীদের জানিয়ে দেন যে, আর গরুর মাংস পরিবেশন করা উচিত নয়। এই ব্যাঙ্ক সংবিধানের নির্দেশিকা অনুসারে কাজ করে। খাবার ব্যক্তিগত পছন্দ। ভারতে, প্রতিটি ব্যক্তির তাদের খাবার বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা কাউকে গরুর মাংস খেতে বাধ্য করছি না। এটা কেবল আমাদের প্রতিবাদের ধরণ।"
রাজ্যের রাজনৈতিক নেতারাও এই বিক্ষোভকে সমর্থন করেছেন। বামপন্থী নির্দল বিধায়ক কেটি জলিল বিক্ষোভের প্রশংসা করে বলেছেন, "কেরলে কোনও সংঘ পরিবারের এজেন্ডা অনুমোদিত হবে না।" তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, "কী পরবেন, কী খাবেন এবং কী ভাববেন তা ঊর্ধ্বতনদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়। এই মাটি লাল। এই দেশের হৃদয় লাল। যেখানেই লাল পতাকা উড়বে, আপনি নির্ভয়ে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে এবং কাজ করতে পারেন। কেউ আপনার ক্ষতি করবে না। যখন কমিউনিস্টরা ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন কমরেডরা কাউকে গেরুয়া পতাকা তুলতে এবং জনগণের মঙ্গলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে দেবে না। এটাই পৃথিবী। এটাই পৃথিবীর ইতিহাস!"
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের পশু বিক্রি সংক্রান্ত নির্দেশিকার পরও কেরলে একাধিকবার 'বিফ ফেস্ট' আয়োজন করে প্রতিবাদ হয়েছিল।