দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির গাড়না সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে অনুষ্ঠিত পরিচালন কমিটির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। ৯ আসনের নির্বাচনে ৫টি আসন দখল করেও শেষপর্যন্ত সমবায়ের পরিচালন ক্ষমতা হাতছাড়া হয় গেরুয়া শিবিরের। নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয় ৩টি আসনে এবং আরএসপি ১টি আসনে। তবে পরিচালন কমিটি গঠনের সময় বিজেপির টিকিটে জয়ী প্রতিনিধি জিতেন্দ্রনাথ পাহানের অনুপস্থিতি ঘুরিয়ে দেয় পুরো সমীকরণ। উপস্থিত ৯ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূল ও আরএসপি যৌথভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা গড়ে তোলে এবং শেষপর্যন্ত ৫-৪ ব্যবধানে তৃণমূলের প্রস্তাবিত প্যানেল জয়ী হয়।
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন আরএসপি-র জয়ন্ত বর্মণ, যাঁকে পূর্ণ সমর্থন দেয় তৃণমূল। পরিচালন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ঘিরে শুক্রবার হিলি গাড়না সমবায় কার্যালয়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। উপস্থিত ছিলেন হিলি থানার আইসি-ও। বিষয়টি নিয়ে হিলির তৃণমূল নেতা আশুতোষ সাহা বলেন, ‘পরিচালন কমিটির ভোটে ৫-৪ ব্যবধানে জয় পেয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্যানেল। বাঙালিদের ওপর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মানুষ আমাদের পাশে থেকেছে। জয়ী হলেও একজন বিজেপি প্রতিনিধি গরহাজির থাকায় ওদের পরাজয় হয়েছে।’
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জয়ন্ত বর্মণ বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমেই আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখানে কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছার কিছু করার নেই। উপস্থিত সদস্যরা যে মত দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই ফলাফল হয়েছে।’ এই ঘটনার পর থেকেই হিলি রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূল ও আরএসপি-র ‘সমঝোতা’ নিয়ে। অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি মিলন সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। সামগ্রিকভাবে, সমবায় নির্বাচন ঘিরে হিলিতে বিজেপির ভরাডুবি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।