রাহুলের পদযাত্রায় তৃণমূলের প্রতিনিধি ইউসুফ ও ললিতেশ
প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিহারে কংগ্রেস ও আরজেডির এসআইআর নিয়ে সমাবেশ আগামী ১ সেপ্টেম্বর। রাহুলের ভোটাধিকার যাত্রায় তৃণমূলের তরফে পাঠানো হচ্ছে প্রতিনিধি। জানা গিয়েছে, ইউসুফ পাঠান এবং ললিতেশ ত্রিপাঠী যোগ দেবেন রাহুলের কর্মসূচিতে।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী নিজে মমতা ও অভিষেককে সমাবেশে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁরা দু’জনে যোগ না দিলেও প্রতিনিধি পাঠানোর কথা আগেই নিশ্চিত করেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষনেতা। মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেরই পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। তাই তৃণমূলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বহরমপুরের তারকা সাংসদ ইউসুফ পাঠান এবং উত্তরপ্রদেশের নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের সঙ্গে সংসদে তৃণমূল ইস্যুভিত্তিক সমন্বয় রক্ষা করে চললেও ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে তাদের যে স্বতন্ত্র অবস্থান রয়েছে, সে বিষয়টি আগেই তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তা বাংলা-বাঙালি ইস্যুতে আলাদা প্রতিবাদ হোক বা সংবিধান সংশোধনী বিলের ক্ষেত্রে তীব্র বিরোধিতা। ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও তৃণমূল যে কংগ্রেসের জোট শরিক নয়, তা বারবারই বলে থাকেন তৃণমূলের নেতারা। তাই সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনরা বিহারের যাত্রায় সশরীরে হাজির থাকলেও, তৃণমূল প্রতিনিধি পাঠিয়েই সমন্বয় রক্ষা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও তৃণমূলের মতোই প্রতিনিধি পাঠাতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে নিজে সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। আবার আম আদমি পার্টর প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিহারের যাত্রাতে যাবেন না। আপের তরফে প্রতিনিধি পাঠানো হবে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, আপ এখন আর ইন্ডিয়া জোটে নেই। কংগ্রেসের থেকে তারা দূরত্ব বজায় রাখার পক্ষপাতী।
কংগ্রেসকে জমি ছেড়ে দিতে বিরোধী শিবিরের অনেকেই নারাজ। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো বৃহত্তর স্বার্থে ইন্ডিয়া জোটে থেকে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ালেও, বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। তাতে সব ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। কংগ্রেসের দাদাগিরি যে সকলে মেনে নেবে না বলেই ইন্ডিয়া জোটে থাকা অধিকাংশ বিরোধী দলের মত।