• জনগণের কথা ভেবে জিএসটি কমানোর পক্ষে, তবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকেই, দাবি রাজ্যের
    প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: কেন্দ্র সরকারের পণ্য পরিষেবা করের (জিএসটি) হার কমানোর পক্ষে বাংলা। তবে সেই সঙ্গে দাবি, রাজস্ব ক্ষতিপূরণের রাস্তা বার করতে হবে কেন্দ্রকেই। বাংলার সঙ্গে সহমত দেশের বাকি বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিও। ৩, ৪ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে, আর সেখানে বাংলা-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি তাদের এই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরবে ঠিক করেছে।

    শুক্রবার দিল্লিতে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীরা জিএসটির হার পুনর্গঠন নিয়ে আলাদা বৈঠকে আলোচনা করেছেন। সেখানে বাংলার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জনগণের স্বার্থে রাজ্য সরকার জিএসটি-হার কমানোর পক্ষে। তবে, তার ফলে রাজ্যগুলির যে রাজস্ব ক্ষতি হবে তা কীভাবে পূরণ করা হবে সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও রোডম্যাপ কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে না দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলা। রাজ্যের তরফ থেকে এদিনের বৈঠকে মূল তিনটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জনগণের সুবিধার্থে জিএসটির হার যুক্তিসঙ্গত করার প্রস্তাবের পক্ষে আমরা।

    তবে, এই প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে এবং রাজ্যের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করবে। এর ফলে জনসাধারণের বিতরণ ব্যবস্থা এবং রাজ্য কর্তৃক পরিচালিত প্রকল্পগুলির উপর মারাত্মক প্রতিকূল প্রভাব পড়বে। তাই এই রাজস্ব ক্ষতি রক্ষা করা প্রয়োজন এবং জিএসটির অতিরিক্ত কর হিসাবে সেসের সমপরিমাণ আদায় অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, বাংলার তরফ থেকে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য উপস্থিত থাকতে পারেননি। বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনার উজ্জয়িনী দত্ত।

    এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরল, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানার অর্থমন্ত্রীরা। বৈঠকে আলোচনায় উঠে এসেছে, জিএসটি হার পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রের প্রস্তাবের ফলে তাদের সম্মিলিতভাবে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ২ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে। সেই ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে সেই রাস্তা কেন্দ্রকেই ঠিক করতে হবে। বিলাসবহুল পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি দাবি করেছে যে এই শুল্ক থেকে প্রাপ্ত আয় রাজ্যগুলির মধ্যে বিতরণ করা উচিত।
  • Link to this news (প্রতিদিন)