কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: একমাসের মেয়াদ ফুরনো সিম কার্ড সংগ্রহ করে চড়া দামে বিক্রি করা হত! অভিযোগ, সেইসব সিম কার্ড পাচার হয়ে যেত সাইবার জালিয়াতদের কাছে। সেসব সিমের মাধ্যমে সাইবার জালিয়াতি হত বলে অভিযোগ। তল্লাশি অভিযানে নেমে গ্রেপ্তার করা হল এই ঘটনার দুই মাস্টার মাইন্ডকে। তাঁরা আবার সম্পর্কে দুই ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। ধৃতদের নাম বুরহন শেখ ও আসিফ ইকবাল। ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য পেতে চাইছে বেলডাঙা থানার পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে অভিযান চালায় বেলডাঙা থানা পুলিশ। সিম কার্ড পাচারের মাস্টার মাইন্ড আসিফ ইকবালকে ঝুনকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাকড়াও করা হয় ধৃতের ভাই বুরহন শেখকেও। ধৃতদের থেকে চারটি পুরনো কিপ্যাড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩১১টি ভুয়ো সিম কার্ড। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ আসে। কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে বহু প্রতারককেই গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় টাকা। সেসব ঘটনার তদন্তের সূত্র থেকেই তথ্য আসে বিভিন্ন টেলিকল সংস্থার একমাসের মেয়াদের সিম অনেকক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়।
জানা গিয়েছে, বেলডাঙা এলাকার বহু মানুষ অফার দেওয়া ওই সিম ব্যবহার করে ফেলে দেন। এই অভিযুক্তরা ওই সিম কার্ড সংগ্রহ করতেন। সেই সিম থেকে প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়! পরে সেসব সিম সাইবার জালিয়াতদের কাছে মোটা টাকায় বিক্রি করা হত বলে অভিযোগ। বেলডাঙার এসডিপিও উত্তম গড়াই জানিয়েছেন, গ্রামের অনেক মানুষের কাছে ওই সমস্ত সিম কার্ড সংগ্রহ করে চড়া দামে সাইবার জালিয়াতদের সেগুলি বিক্রি করতেন বেলডাঙার ওই দুই ভাই। এর আগেও সাইবার জালিয়াতির অভিযোগে বিধান নগর কমিশনারেট বেলডাঙা থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওইসব সিম কার্ড রাজ্যের বাইরেও সাইবার ক্রাইমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ। সেসময় প্রায় ২০০০ ভুয়ো সিম কার্ড উদ্ধার করেছিল পুলিশ। আজ শনিবার দুই অভিযুক্তকে বহরমপুর আদালতে তোলা হয়।