‘মোবাইল ছুড়িনি, পড়ে গিয়েছিলাম’, আদালতে হাজিরার আগে বললেন জীবনকৃষ্ণ
প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
বিধান নস্কর, দমদম: তিনি মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলেননি। পালানওনি। পড়ে গিয়েছিলেন। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় এই কথাই দাবি করলেন ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আজ, শনিবার বিধায়ককে ফের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বিধায়ককে নিয়ে আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তখনই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথা বলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক। তিনি বলেন, “মোবাইল ছুড়িনি, পড়ে গিয়েছিলাম।”
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের পর এবার ইডির জালে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর গ্রেপ্তারির নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন খোদ বিধায়ক। সোমবার তাঁকে মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। ওইদিনই তাঁকে কলকাতায় এনে আদালতে তোলা হয়। তার আগে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল বিধায়কের। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আঁচ করেন তিনি। আদালত বিধায়ককে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন একাধিকবার আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়েছেন বিধায়ক। একাধিক তথ্য যাচাই করতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি হেফাজত শেষে আজ ফের আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিধায়ককে নিয়ে বেরোন তদন্তকারীরা। আদালতে যাওয়ার আগে বিধাননগর হাসপাতালে জীবনকৃষ্ণের শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়। দুই জায়গাতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক দাবি করেছেন, তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। জীবনকৃষ্ণ সাহার টাকা ফেরতের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কারণ, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক ইডির হেফাজতে থাকাকালীন দাবি করেন, তিনি কোনও চাকরিপ্রার্থীকে টাকা ফেরত দেননি। কারণ, তিনি চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকাই নেননি। বরং তিনি এক ব্যক্তিকে জমি কেনার জন্য ওই পরিমাণ টাকা দিয়েছেন বলে ইডিকে জেরায় জানিয়েছেন।
ইডির দাবি, যে পরিমাণ টাকা জীবনকৃষ্ণ এজেন্টদের অথবা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন, তা তিনি ফেরত দিতে শুরু করেন। ৪৬ লক্ষ টাকা বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে তুলে স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে পাঠান জীবনকৃষ্ণ সাহা। ওই টাকার মধ্যে ১২ লক্ষ টাকা তিনি তুলেছিলেন এক এজেন্টের কাছ থেকে। কিন্তু তার মধ্যে তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে দেন। যদিও ইডির এই দাবিই অস্বীকার করেছেন জীবনকৃষ্ণ।