ছেলেকে আদর করে কাঠগড়ায় কান্না জীবনের, জেল হেফাজতে তৃণমূল বিধায়ক
প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
অর্ণব আইচ: আদালত কক্ষে ঢুকে স্ত্রী ও ছেলেকে দেখে আবেগপ্রবণ জীবনকৃষ্ণ সাহা। নাবালক ছেলেকে দেখে ছেলের গাল টিপে আদর করেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তারপর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
৬ দিনের ইডি হেফাজত শেষ হয় শনিবার। এদিন সকালে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর পথে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ খারিজ করেন জীবনকৃষ্ণ। এরপর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। আদালতে স্ত্রী ও ছেলেকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বড়ঞার বিধায়ক। কান্নাকাটি করেন তিনি। এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে ইডি দাবি করে তৃণমূল বিধায়ককে আরও জেরার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার দাবি করেন ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা দিয়ে আলুর বন্ড কিনেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। যদিও সে দাবি খারিজ করে দেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর দাবি, পুরো টাকাই তাঁর ব্যবসার। কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।
এদিকে, শনিবার আইনজীবী জাকির হোসেন জীবনকৃষ্ণের জামিনের আর্জি জানাননি। তিনি বলেন, “এই মামলায় থার্ড লাইনার এজেন্টেরা জামিন পেয়ে গিয়েছে। অথচ আমার মক্কেলকে (জীবনকৃষ্ণ) আগেও আদালতে ডাকা হয়েছে।” ইডি এবং জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শোনার পর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অবশ্য তার বিরোধিতা করেন জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী। হেফাজতের মেয়াদ কিছুটা কমিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। সেই আর্জি অবশ্য খারিজ হয়ে যায় আদালতে। তাই আপাতত আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তৃণমূল বিধায়ককে।