একটা ইটের দাম ৫০ টাকা! স্বাভাবিকের ১০ গুণ, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের পঞ্চায়েতে বিরাট দুর্নীতি
আজকাল | ৩১ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়ঙ্কর হিসাব। বিরাট দুর্নীতি। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে অঙ্গনবাড়ির সীমানা তৈরির জন্য ইট কেনার টাকায় গড়মিল। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলার বুধার ব্লকের ভাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের। বিল অনুসারে, আড়াই হাজার ইটের দাম ১.২৫ লক্ষ টাকা! অর্থাৎ প্রতিটি ইটের খরচ ৫০ টাকা! যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় দশগুণ!
অবাক মনে হলেও মধ্যপ্রদেশে এই ঘটনা মোটেই বিচ্ছিন্ন নয়। কয়েক সপ্তাহ আগে, কুদ্রি গ্রাম পঞ্চায়েতে দুই পৃষ্ঠার ফটোকপির জন্য ৪,০০০ টাকা অনুমোদনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এছাড়া, জুলাই মাসে ভাধওয়াহি গ্রামেও অদ্ভুত কাণ্ড হয়। বিল অনুসারে এক ঘন্টার 'জল গঙ্গা সম্বর্ধন' অভিযানের (প্রচার অভিযান) সময় ১৪ কেজি শুকনো ফল, ৩০ কেজি নিমকি এবং ৯ কেজি ফল খাওয়া হয়েছিল!
এমনকি যেসব দোকান এই বিল জারি করেছিল তারাও অপরিচিত। কাজু এবং বাদাম সরবরাহকারী হিসাবে তালিকাভুক্ত একটি মুদি দোকান এতই ছোট যে তার কোনও বিল বই-ই ছিল না। জিএসটি নম্বর তো দূরের কথা। ঘি এবং ফলের জন্য আরেকটি বিল এমন একটি দোকান থেকে করা হয়েছিল যে, সেখানে আসলে বালি, নুড়ি এবং ইট বিক্রি হয়।
শুকনো ফল কেলেঙ্কারি-র চর্চা যখন কমছে, তখনই মৌগঞ্জ জেলায় আরেকটি নয়া ঘটনা সামনে আসে। সেখানে ৪০ মিনিটের 'গঙ্গা সম্বর্ধন অভিযান'-এর জন্য ১০ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়েছিল। রহস্য হল যে, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের দোকান 'প্রদীপ এন্টারপ্রাইজেস' নামে করা বিলগুলিতে মুদি জিনিস থেকে শুরু করে তাঁবু, মিষ্টি, এমনকি গদি ও বিছানার চাদর সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শাহদোল জেলার কালেক্টর ড. কেদার সিং স্বীকার করেছেন যে, ইট কেনার ক্ষেত্রে একটা ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি ক্লাস্টার স্তরের সরকারি কর্মীদের প্রতিদিন ১০-১২টি পঞ্চায়েত পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতেই দেখা যায় যে, সরকারি জিনিস কেনার ক্ষেত্রে বিলে গড়মিল রয়েছে। এই বিলগুলিতে অবহেলার কারণে নাকি ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।