পড়ে গিয়েছেন নাকি অন্য কিছু? টালিগঞ্জের বৃদ্ধের মৃত্যুকে ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য, তদন্তে পুলিশ...
আজকাল | ৩১ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার সাতসকালে দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে টালিগঞ্জের মুর অ্যাভিনিউ এলাকায় এক বৃদ্ধের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকার ১৭/২ মুর এভিনিউ এলাকায় শনিবার সকালেই ঘটে যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সূত্রের খবর, বাড়ির পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে যান স্থানীয় বাসিন্দা মোহন ভগৎ। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। প্রথম স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখতে পান এবং তড়িঘড়ি তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান তাঁর অনেকক্ষণ আগেই মৃত্যু ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালবেলায় আচমকাই শব্দ শুনে নিচে নেমে আসেন প্রতিবেশীরা। তখনই দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছেন ওই ব্যক্তি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটি দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই মোহন ভগতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছেন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে এখনও প্রশ্ন রয়ে গেছে, আদৌ এটা নিছক দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে এই ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পেছনে! প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট ছাড়া এই মুহূর্তে কোনও কিছুই বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দক্ষিণ কলকাতার ব্রাহ্মণপুর এলাকায় এক হাড়হিম করা কাণ্ড ঘটে। সাতসকালে রাস্তা দিয়ে ছুটছিলেন এক মহিলা। তাঁর পিছনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটছিলেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়রাও বুঝে উঠতে পারেননি কী হচ্ছে। সবাই হতভম্ব হয়ে যান। এদিকে, কিছু সময়ের মধ্যেই ওই মহিলাকে ধরে ফেলে পরপর কোপ বসায় ওই ব্যক্তি। বুধবার সকালের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ কলকাতার ব্রাহ্মণপুর এলাকায়। জানা যায়, সম্পর্কে তাঁরা স্বামী–স্ত্রী। ব্রাহ্মণপুর এলাকাতেই বাস তাঁদের। স্ত্রী এলাকায় পরিচারিকার কাজ করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রীকে একাধিক বিষয়ে স্বামী সন্দেহ করছিল বলে অভিযোগ। স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে, সেই বিষয়েও সন্দেহ চলত বলে অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রবল অশান্তিও হয়। বুধবার সকালে বাড়িতেই স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝামেলা শুরু হয়ে যায়।
সে সময় ওই ব্যক্তি ঘরের ভিতরেই ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাতের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে নিজেকে বাঁচিয়ে ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায় ছুটতে থাকেন। অভিযোগ, ছুরি হাতেই স্ত্রীর পিছনে তাড়া করেন স্বামী। সাত সকালে দক্ষিণ কলকাতার ব্রাহ্মণপুর এলাকার রাস্তায় এই ঘটনা দেখে স্থানীয়রাও চমকে যান। কিছুদূর ধাওয়া করে এক চায়ের দোকানের সামনে স্ত্রীকে ধরে রাস্তার উপরেই ওই ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। আক্রমণ করার পরেই অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। রক্তাক্ত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। এই ঘটনার পর গোটা এলাকা থমথমে হয়ে ছিল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজনও। জানা যায়, নাবালক পুত্রের সামনেই এই কাণ্ড ঘটায় ওই ব্যক্তি।