• 'বলির পাঁঠা করে শান্তি ফিরবে না', ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকাকে জবাব ভারতের
    আজ তক | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • India On USA Ukraine: ভারতের উপর আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মার্কিন সরকার তথা ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ইউক্রেনের উপর হামলায় পরোক্ষ মত দিয়েছে বলেও তাঁরা মন্তব্য করেন। সরকারী সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতকে বলির পাঁঠা করে শান্তির রাস্তা বেরোবে না। এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা যেতে পারে কিন্তু তথ্যকে ভুল প্রমাণিত করা যাবে না।

    চলতি মাসের শুরুতে আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের আমদানির উপর ২৫ শতাংশ বেস ট্য়ারিফ এবং রাশিয়ায় তেল কেনার উপরে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্পের দাবি যে, ভারতের তেল কেনা রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। জানিয়ে দেওয়া যাক যে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বলেছিলেন যে তিনি জেতার পরেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন।

    কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে জড়িত সূত্র থেকে পাওয়া খবরে বলা হয়েছে যে বলির পাঁঠা করে শান্তি আসবে না। ভারতের দাবি রাশিয়া থেকে কাঁচা তেল কিনে বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতিকে স্থিত রেখেছে। জ্বালানিকে সস্তা রেখেছে এবং নিজের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ রেখেছে। ভারত সরকারের এই সূত্র পশ্চিমী দেশের এই দ্বৈত মানদণ্ডের ওপর প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা নিজেরা রাশিয়াকে শক্তি যোগাচ্ছে অন্যদিকে ভারতের উপর নিশানা তাক করেছে।

    সূত্র বলেছে যে ইউরোপ এখনও রাশিয়ার গ্যাস কিনছে এবং আমেরিকা রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আমদানি করছে। ভারত দায়িত্বের কাজ করেছে। বৈশ্বিক নিয়মের পালন করেছে এবং তেলের দামকে ছোঁয়া থেকে রক্ষা করেছে। ভারত সরকারের দাবি ভারত যদি তেল না কিনত, তাহলে কাঁচা তেলের দাম ২০০ ডলার প্রতি ব্যারেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারত। ভারত, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বজায় রেখে গ্লোবাল ওয়েল মার্কেট ওপর স্থিরতা প্রদান করেছে।

    গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের ট্রেড এডভাইজার পিটার নোয়ারো ভারতের ওপর ইউক্রেনের যুদ্ধে পরোক্ষ ভূমিকা পালন করার অভিযোগ তুলেছিলেন এবং এটি রাশিয়ার তেলের জন্য লন্ড্রামেট এর ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি করেছিলেন। জবাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র বলেছে যে যখন বিশ্বের তেলের দাম ১৩৭ ডলার প্রতি ব্যারেল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল তখন ভারত নিজেদের নাগরিকদের জন্য জ্বালানির দাম কম রেখেছে। সরকার তেল কোম্পানিগুলিকে ২১ হাজার কোটি টাকা প্রতি স্বীকার করেছে এবং মুনাফা লাভ করতে আটকেছে এবং এক্সপোর্ট ট্যাক্স আরোপ করেছে।

     
  • Link to this news (আজ তক)