সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভগবানের অভিশাপে অসুস্থ। তাই একের পর এক মন্দিরে চুরি করে প্রতিশোধ নিয়েছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ছত্তিশগড়ের দূর্গ শহরের এক বাসিন্দা। কিছুদিন ধরেই দূর্গ শহরের কয়েকটি মন্দিরে প্রণামী বাক্সের তালা ভেঙে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। যার তদন্ত করতে গিয়ে কোনওভাবেই চোরের হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ। কয়েকদিন আগেই পরপর দু’দিন চুরির ঘটনা ঘটে। তাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে চোরের খোঁজ পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে এই চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বছর পঁয়তাল্লিশের ওই অভিযুক্ত এইচআইভি আক্রান্ত। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ২০১২ সালে তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। হাজতবাসের সময়ই এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। জেল থেকে বেরনোর পর অভিযুক্ত মনোস্থির করেন, মন্দিরে চুরি করে এই অভিশাপের প্রতিশোধ নেবেন। এরপর থেকেই একের পর এক মন্দিরে চুরি করতে শুরু করেন তিনি। পরিকল্পনা করেই চুরিগুলি করেছেন ওই ব্যক্তি। যদিও শুধু প্রণামী বাক্সের টাকাই চুরি করেছেন তিনি, বিগ্রহের গয়নায় হাত দেননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, দশটি মন্দিরে চুরির অপরাধ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। বেশ কিছুদিন ধরেই দূর্গ শহরের মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু কোনওভাবেই চোরের হদিশ পাচ্ছিলেন না পুলিশ আধিকারিকরা। এমনকী কোনও সিসিটিভি ফুটেজেও মিলছিল না সূত্র। কিন্তু কেন মিলছিল না সূত্র? পুলিশ জানাচ্ছে, মন্দিরে এক পোশাক পরে ঢুকতেন ওই অভিযুক্ত। চুরি করে অন্য পোশাকে বেরতেন। নিজের স্কুটারটিও রাখতেন মন্দির থেকে অনেক দূরে। সিসিটিভির নজরদারি এড়াতে অলিগলিকেই বেশি পছন্দ করতেন অভিযুক্ত।
কিন্তু কীভাবে অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ? দূর্গ পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট বিজয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, শেষবার একটি জৈন মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। এরপরই পুলিশের অপরাধ বিরোধী দল ও সাইবার ইউনিট স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। ‘ত্রিনয়ন’ অ্যাপ ব্যবহার করে অপরাধীকে শনাক্ত করে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চুরি যাওয়া ১ হাজার ২৮২ টাকা উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তর স্কুটারটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।