শনিবার এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিশ্ব কূটনীতি ও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের নীতি স্পষ্ট করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা সর্বত্র স্বনির্ভরতা প্রয়োজন। বদলে যাওয়া বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের স্পষ্ট করে দিয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশের উপর নির্ভরশীল হওয়া আর নয়।” আত্মনির্ভরতার পথে ভারত যে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে তার উদাহরণ স্বরূপ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের কথা তুলে ধরেন রাজনাথ। বলেন, “এখন থেকে ভারতেই তৈরি হবে যুদ্ধ জাহাজ। ২০১৪ সালে আমাদের প্রতিরক্ষা রপ্তানি যেখানে ছিল মাত্র ৭০০ কোটি। সেটা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার কোটি। সামরিক ক্ষেত্রে ভারত শুধু আর ক্রেতা নয়, বরং রপ্তানি ক্ষেত্রে অন্যতম শক্তি।”
এরপরই বিশ্ব কূটনীতির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ভারতের নীতি স্পষ্ট করে রাজনাথ বলেন, ”বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বৈশ্বিক স্তরে বর্তমানে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি রয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রগুলি এই সময় সংরক্ষণবাদী হয়ে উঠেছে, তবে ভারত রাষ্ট্রীয় স্বার্থের বাইরে কোনও রকম সমঝোতা করবে না।” একইসঙ্গে বলেন, “ভারত কাউকে শত্রু বলে মনে করে না, একইভাবে কেউই সর্বদা বন্ধু থাকে না। যা চিরস্থায়ী তা হল প্রয়োজন। ভারত নিজের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করবে না।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেশের অর্থনীতিতে জোর ধাক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ট্রাম্পের আমেরিকা। এই অবস্থায় একদা শত্রু চিন ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। অতীতের শত্রুতা ভুলে চিনের প্রতি সুর নরম করেছে ভারত। ২০২০ সালের পর প্রথমবার চিনে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব কূটনীতির এই রদবদলের মাঝেই রাজনাথ সিংয়ের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।