• ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে’ বিক্ষোভের মুখে কাঞ্চন, পালটা কী বললেন বিধায়ক?
    প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: সরকারি পরিষেবামূলক প্রকল্পের কাজ দেখতে গিয়ে নিজের এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শাসকদলের তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। শনিবার উত্তরপাড়ায় তাঁকে দেখামাত্রই নানা স্লোগান তোলেন এলাকাবাসী। মূল অভিযোগ, এলাকায় বিধায়ককে দেখা যায় না। ঠিকমতো নাগরিক পরিষেবা মেলে না। পালটা কাঞ্চনও আত্মপক্ষ সমর্থনে দাবি করেন, ”কার কার অনুষ্ঠানে কবে কবে উপস্থিত ছিলাম, সেসব ছবি পারলে গোল করে মার্ক করে দেব।” ছাব্বিশের নির্বাচনে কি ফের তাঁকে উত্তরপাড়ার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখা যাবে? এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই দায় ঠেলেছেন কাঞ্চন।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের বুথগুলিতে নাগরিক পরিষেবা প্রদানের কাজ করছে রাজ্য সরকার। তিনটি করে বুথ নিয়ে চলছে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্প। পাড়ায় পাড়ায় সমস্যা সমাধানের জন্য এই প্রকল্প। এখানকার কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব মূলত কাউন্সিলর, বিধায়কদের। শনিবার উত্তরপাড়া পুর এলাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের কাজ দেখতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তাঁকে শুনতে হয়, ‘আমাদের পাড়া, তৃণমূল তাড়া’, ‘আমাদের পাড়া, আগে আমাদের রাস্তা সারা’ ? এসব স্লোগান। কেউ কেউ বেহাল রাস্তা নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায় না বিধায়ককে, তিনি শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। এমনকী জেলায় দলীয় নেতৃত্বের একাংশও এনিয়ে অভিযোগে সরব হয়।

    শনিবার উত্তরপাড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ দেখতে গিয়ে জনবিক্ষোভের মুখে পড়ে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, ”হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন সমান নয়, ঠিক সব নেতা ও কর্মী এক নয়। যেদিন উত্তরপাড়া থেকে বিদায় নেব, সেদিন বিদায় সম্ভাষণে উত্তরপাড়ার মানুষের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বলে দিয়ে যাব।” ২৬-এ আবার কাঞ্চন মল্লিককে পাবে উত্তরপাড়ার মানুষ? এ প্রশ্নের জবাবে অভিনেতা-বিধায়ক বলেন, ”তা আমি জানি না। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে আমি এসেছিলাম। তাঁর আহ্বান এলেই চলে যাব।” মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিত এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে কাঞ্চন বলেন, ”পাড়ায় সমাধানে মানুষ তাঁদের সমস্যা নিয়ে আসছেন। তাঁরাই ঠিক করছেন, কোন কাজটা আগে করতে হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেই কাজ হবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)