‘প্রাণ ভরে খান লুচি-সুজি’, ডায়েট ভুলে পুজোয় মেতে ওঠার পরিকল্পনা রচনার
প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: পেশায় অভিনেত্রী। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মতো জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো-র চালিকাশক্তি। রাজনীতির আঙিনায় তাঁর অবাধ বিচরণ। সংসদীয় এলাকার গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। এত কাজের মাঝেও একজন দায়িত্ববান মায়ের হিসাবে ছেলেকে সামলান।
বলা চলে হুগলির তারকা সাংসদ রচনা যেন নিজেই দশভূজা। মা দুর্গার মতো দশহাতে সব দায়িত্ব সামলান। হাজার ব্যস্ততার মাঝে সকলের সঙ্গে আনন্দ করে পুজো কাটানোর ভাবনা তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তিনি তারকা। কলকাতার বাসিন্দা। রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনার উপর ভরসা রেখেছিলেন বাংলার ‘দিদি’ মমতা। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হুগলির প্রার্থী করেছিলেন তাঁকে। ভরসা বিফলে যায়নি। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ের হাসি হেসেছিলেন রচনা।
নিন্দুকদের অনেকেই বলেছিলেন, ভোটে জেতার পর হুগলিতে আর দেখাই পাওয়া যাবে না অভিনেত্রী-সাংসদের। নিজের কাজ দিয়ে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন রচনা। ‘নব্য’ রাজনীতিক রচনাই যেন এখন হুগলির ‘ঘরের মেয়ে’। নিজের সংসদীয় এলাকায় এখন নিত্য যাতায়াত তাঁর। সকলের সমস্যায় পাশে থাকেন। তাই শুটিং, দলীয় কাজকর্ম নিয়ে বেজায় ব্যস্ত।
তা বলে বাঙালি হয়ে দুর্গাপুজোর আনন্দে গা ভাসাবেন না, তা কি হতে পারে? রচনা বলছেন, “কাজ নিয়ে ব্যস্ত। নিজের সংসদীয় এলাকায় যাব। ঘুরে ঘুরে প্রতিটি পুজো দেখব। আনন্দ করে সকলের সঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করব।” নিজের সংসদীয় এলাকার দুর্গাপুজো সেরার সেরা হোক আশা রচনার। তারকা সাংসদের কথায়, “জেলার দুর্গাপুজো এখন অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে। কলকাতাকে টেক্কা দিচ্ছে কিছু কিছু। আমি চাইব আমার হুগলি জেলার পুজো যেন শ্রেষ্ঠ হয়।”
হাজার ব্যস্ততার মাঝে নিজের যত্নের কোনও খামতি রাখেন না রচনা। সম্প্রতি বিখ্যাত হেয়ার ড্রেসারের কাছে গিয়ে নিজের স্টাইল বদলান তারকা সাংসদ। সোশাল মিডিয়ায় সে ছবি-ভিডিও ভাইরাল। পুজোতে কি ফের লুক বদল করবেন? হাসিমুখে রচনা বলেন, “এখন ছোট আছে, আবার লম্বা হয়ে যাবে।”
তবে পোশাক নিয়ে কোনও কাটাছেঁড়া পছন্দ করেন না রচনা। বছরকার পাঁচটা দিন শাড়ি পরে কাটানোর ভাবনা তাঁর।
বয়স পঞ্চাশের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। রচনার সৌন্দর্যের চাবিকাঠি নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মেপেজুপে খাওয়াদাওয়া। পুজোর পাঁচটাদিন কোনও ডায়েট নয়। প্রাণভরে খাওয়াদাওয়ার পক্ষে তারকা সাংসদ। তাঁর পরামর্শ, “পুজোর পাঁচটা দিন কোনও ডায়েট নয়, প্রাণ ভরে খাও লুচি, সুজি ও নাড়ু। গরমে ডাবের জল, ফল আরও বেশি করে খান।” গোটা রাজ্যবাসীকে পুজোর আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।