অপহরণ ও ধর্ষণে ব্যক্তির সাজা, ১০ বছরের কারাদণ্ড আলিপুরদুয়ার আদালতের
প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: আদিবাসী তরুণীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল এক ব্যক্তি। মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনাল আদালত। আজ, শনিবার ওই ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আলিপুরদুয়ার আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরপাড়া থানা এলাকাতেই সাজা পাওয়া এনামুল হকের বাড়ি। তিনি চার সন্তানের বাবা, বাড়িতে স্ত্রীও আছেন। পরিবারের লোকজন লালপুল এলাকায় থাকেন। ঘটনাটি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের। অভিযোগ ছিল, এক আদিবাসী নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করে সে। সেসময় নাবালিকার ছবিও তুলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এরপরও একাধিকবার ওই নাবালিকাকে ওই ব্যক্তি ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাড়িতে করে ওই নাবালিকাকে জয়গাঁর একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই হোটেলেও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই ওই নাবালিকা পরিবারের সদস্যদের কাছে সব কিছু জানায়। ওই বছরই ১৮ নভেম্বর এনামুলের নামে বীরপাড়া থানায় অভিযোগ জানায় নিগৃহীতার পরিবার। বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকতে শুরু করে এনামুল। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আলিপুরদুয়ার আদালতে শুরু হয় মামলা। ৯০ দিনের মধ্যেই চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠন হয়। গত ১০ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড সম্পূর্ণ হয়। অবশেষে এদিন সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এদিন অভিযুক্তকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দিল। জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বীরপাড়া থানার এসআই তাপস রায় বলেন, “আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই মামলার তদন্ত করে চার্জশিট জমা দিই। দোষ করলে অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে।” সাজা শুনে স্বস্তি পেয়েছে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।