কমিশনের নাম করে সমীক্ষায় ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ! মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তার পরই গ্রেপ্তার ১
প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
ধীমান রায়, কাটোয়া: এসআইআর নিয়ে আতঙ্কের আবহে কাটোয়ায় ধরা পড়ল বড়সড় চক্র। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত সংস্থার নাম করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের মতো গুরুতর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম হিমাদ্রি ঘোষ, বয়স ২৪ বছর। বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লী এলাকায় তাঁর বাড়ি। বর্ধমান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শনিবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া থানার করজগ্রামের বাসিন্দা অরিন্দম মণ্ডল নামের এক যুবক কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই কাটোয়া এলাকার বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে একটি চক্র। বহিরাগত ওই চক্রটি নিজেদের নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত একটি সংস্থার কর্মী পরিচয় দেয়। সমীক্ষা করার নামে সদস্যদের সচিত্র পরিচয়পত্র-সহ পারিবারিক আরও কিছু তথ্য তারা নথিভুক্ত করছে। অরিন্দম মণ্ডলের দাবি, সার্ভে করা ওই ব্যক্তিদের নিজেদের পরিচয়পত্র বা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে তা দেখাতে পারেননি। অরিন্দম মণ্ডল পুলিশের কাছে সন্দেহপ্রকাশ করেন, এটি একটি প্রতারণাচক্র। তিনি পুলিশের কাছে হিমাদ্রি ঘোষ-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।
গত ২৮ আগস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছিলেন, “বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার নামে আপনার সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে গিয়ে দেখবেন, আপনার নাম বাদ দিয়ে দেবে। নিজের ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে দেখবেন, নামটা আছে কি না। আধার কার্ডটা করে রাখুন। আধার কার্ডটা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। ললিপপ সরকার বিডিও, এসডিও, ডিএম-দের ভয় দেখাচ্ছে। বলছে, চাকরি খেয়ে নেব, নয় জেলে পুরে দেব। নির্বাচন কমিশন আসে আর যায়। সারাবছর কিন্তু রাজ্য সরকারের হাতে সব থাকে। গায়ের জোরে কিছু হবে না এখানে।” এরপরই সতর্ক হয়ে সমীক্ষা করতে আসা লোকজনকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন কাটোয়ার বাসিন্দা। আর তার জেরে গ্রেপ্তার করা হল একজনকে।