নিজের নামে চাই শ্বশুরবাড়ি! স্ত্রী-শ্বশুরকে খুনে জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্ত্রী ও শ্বশুরকে খুনের অভিযোগে আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল জামাই। শনিবার সাজা ঘোষণা করল বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। রমেশ পণ্ডিত নামে ওই অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক কৃষ্ণেন্দু সরকার। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। এর পাশাপাশি প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে রমেশকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকার জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বছর ছয় আগে সুভাষগ্রামের সুকান্ত সরণির বাসিন্দার বাসুদেব গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে সুমিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় দর্জি রমেশের। বিয়ের পর থেকেই রমেশ নিজের মাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। লকডাউনের সময় ওই যুবকের কাজ চলে যায়। এরপর থেকে অশান্তি শুরু হয় পরিবারে।অশান্তির মাঝেই শ্বশুরের বাড়ি নিজের নামে লিখিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে রমেশ। চাপ সহ্য করতে না পেরে বাড়ি বিক্রি করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাসুদেব গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর ২০২০ সালের ১১ জুলাই খুনের ঘটনা ঘটে।
তদন্তে নেমে সোনারপুর থানার পুলিশ রমেশ এবং তাঁর মা দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন দু’জনেই জেল হেফাজতে ছিলেন। মামলা চলাকালীন সংশোধনাগারে মৃত্যু হয় অন্যতম অভিযুক্ত অঞ্জলিদেবীর। এই খুনের ঘটনায় তাতে মোট ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার ভিত্তিতে রমেশ পণ্ডিতকে দোষী সাব্যস্ত করে আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল।