উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারের অবস্থা সঙ্গিন! যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যে দেশের খারাপ বিমানবন্দরগুলির মধ্যে ‘এগিয়ে’ বাগডোগরা
আনন্দবাজার | ৩০ আগস্ট ২০২৫
যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যে দেশের মধ্যে খারাপ বিমানবন্দরের একটি পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা বিমানবন্দর। দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৬০টি ছোট বিমানবন্দরের মধ্যে ৫৯তম স্থানে রয়েছে এটি। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের বিভিন্ন সূচক মাপার পরে বাগডোগরা বিমানবন্দরের স্কোর ৩.৮।
কলকাতা বিমানবন্দরের পরে রাজ্যের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে। শিলিগুড়ির অদূরে উত্তরবঙ্গের ওই বিমানবন্দরের বর্তমান সার্বিক অবস্থার যদিও নানা উন্নতি প্রয়োজন। সেই তথ্যই উঠে এসেছে সমীক্ষায়। আগে বাগডোগরা ছিল ৩৮তম স্থানে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে সমীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরটি পিছিয়ে ৫৯তম স্থান পেয়েছে।
বছরে দু’বার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন। ‘কাস্টমার স্যাটিসফেকশন সার্ভে’ বা সিএসএসে ৩৩-৩৪টি সূচকে বিমানবন্দরের অবস্থা এবং পরিস্থিতি বিচার করে। কোনও বিমানবন্দর কতটা পরিষ্কার, কর্মীরা কতটা ভাল, কেমন তাঁদের কর্মপদ্ধতি— সে সব বিষয়ে নজর দেওয়া হয়। এ ছাড়া পার্কিংয়ের সুবিধা থেকে যাত্রীদের ব্যাগপত্র ঠিকঠাক রাখা— যাত্রীদের সামগ্রিক স্বাচ্ছন্দ্যের দিক দেখা হয়। এই সব দিক থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দর অনেক পিছিয়ে। সমীক্ষার সর্বশেষ ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বাগডোগরা প্রায় প্রতিটি মানদণ্ডেই খারাপ ফল করেছে। ২০২৫ সালের প্রথম রাউন্ডের ফলাফলের সঙ্গে ২০২৪ সালের তুলনা করলে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা এবং বিমানবন্দর থেকে পরিবহণ ব্যবস্থায় খারাপ ফল করেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পার্কিংয়ে। এ ছাড়া বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভাড়াগাড়ির অসুবিধার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে সমীক্ষায়।
এখানেই শেষ নয়, রেস্তরাঁর মান এবং খাবারের দাম নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। ওই সূচকেও খারাপ ফল করেছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। এ ছাড়াও কেনাকাটার অসুবিধা, শৌচালয়ে পরিচ্ছন্নতা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে। তার পর রয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থার বিষয়টি। অভিযোগ, যাত্রীদের ব্যাগপত্র পরীক্ষা করতে অনেক বেশি সময় নেন বাগডোগরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়েও আরও নজর দিতে হবে। শুল্ক বিভাগের পরিদর্শনেও গাফিলতি আছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ। ওই সূচকে ৩.৩ পেয়েছে বাগডোগরা। আগের চেয়ে ১.১ পয়েন্ট কমেছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর মহম্মদ আরিফ জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়গুলির উপর নজর দেবেন। পরের সমীক্ষাতেই যাতে ভাল ফল আসে, সেই সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে।