‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন সুকান্তের, দাবি, ‘কেন আগে প্রকাশ নয়?’
আনন্দবাজার | ৩০ আগস্ট ২০২৫
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে শনিবার সন্ধ্যায় ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ১৮০৪ জনের। নামের পাশে রয়েছে শুধু রোল নম্বর। প্রার্থীদের সম্পর্কে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য না-থাকায় তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, আদৌ তাঁরা প্রার্থী কি না, কোথাও চাকরি করছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয় তালিকায়।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল কেন ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, “দাগি (টেন্টেড) অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আমরা সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করিনি। তার পরেও কেন তালিকা প্রকাশ হল না?” এর পরেই সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। শনিবারের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। তবে এই তালিকা প্রকাশ নিয়ে দিনভর নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কমিশন দফতরে।
কখন তালিকা প্রকাশ করা হবে, সেই সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি কমিশন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল দুপুরেই কমিশেনর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকা। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই তালিকা প্রকাশের আগেই প্রকাশ্যে আসে একটি খসড়া তালিকা। এই নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যেই ওই খসড়া তালিকা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। এসএসসির এই ‘কাণ্ড’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা দিন নাটকের পর ১৮০৪ জনের তালিকা প্রকাশ করা হল। তবে এর আগে একটা তালিকা দিয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যে সেটা সরিয়ে দেওয়া হল। কেন এমন করা হল, তা আমরা বুঝতে পারছি না।’’
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কারা ‘যোগ্য’ আর কারা ‘দাগি অযোগ্য’ সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আদালত এই বিষয়ে ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। সেই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘এত কম সংখ্যক ‘অযোগ্য’ প্রার্থী কী করে হয়? এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’’
শুধু তা-ই নয়, কেন এত দিন এসএসসি এই তালিকা প্রকাশ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের ধ্যাঁতানিতে এই তালিকা বার করল এসএসসি। তার মানে কমিশনের কাছে আগেই এই তালিকা ছিল। তবে কেন হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি?’’ ‘যোগ্য’ হওয়া সত্ত্বেও আবার যাঁদের পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সুকান্ত দাবি, ‘‘আমার মনে হয় ওঁদের উচিত তৃণমূলের কলার ধরা।’’