আড়ালে তৃণমূল সমর্থন করছে এসআইআর! ‘তথ্য’ দিয়ে দাবি বিজেপির, কুণাল পাল্টা বললেন, ‘প্রতিহত করতেই লোক নিয়োগ’
আনন্দবাজার | ৩০ আগস্ট ২০২৫
মুখে এসআইআরের বিরোধিতা করলেও আসলে ভিতরে ভিতরে সেই প্রক্রিয়ায় তৃণমূল যুক্ত হয়েছে বলে দাবি করল বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের একটি তালিকা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে এই দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা তৃণমূলের কুণাল ঘোষ গোটাটার ব্যাখ্যা দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এসআইআর সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই নেই।
জগন্নাথ যে পোস্ট করেছেন তাতে একটি তালিকা দেখা যাচ্ছে। বিএলএ (বুথ লেভেল এজেন্ট)-১ নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে প্রাপ্ত জেলাভিত্তিক তালিকার সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে ওই তালিকায়। সেখানে তৃণমূলের পাশে লেখা রয়েছে তারা ৫টি জেলার তালিকা জমা দিয়েছে।
বিজেপি নেতা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘একেই বলে ভাবের ঘরে চুরি করা। তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে ‘নো এসআইআর’ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের খাতায় তারা ‘ইয়েস এসআইআর’ করে দিয়েছে। প্রেজেন্ট প্লিজ়ও করে দিয়েছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘যার মানে হল, সরকারি ভাবে তৃণমূল নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যোগ দিয়েছে। কারণ, এসআইআরের জন্যই কমিশন নিজেরা বিএলও নিয়োগ করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বিএলএ-১ এর তালিকা চেয়েছে। তৃণমূল বুঝেছে, সংবিধান স্বীকৃত এসআইআর মেনে না-নিলে সাংবিধানিক ব্যবস্থাতেই ব্যবস্থাগ্রহণ হবে। তাই বাইরে ক্যাডার খেপিয়ে চমকানি, ভিতরে হাত কচলানির পথেই তৃণমূল। হিম্মত থাকলে তৃণমূল কংগ্রেস বিএলএ-১ প্রত্যাহার করে নিক।’
পাল্টা কুণাল বলেন, ‘‘এর সঙ্গে এসআইআর সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই আসছে না। কিছু নিয়মকানুন থাকে। সেই মতো সাংগঠনিক ভাবে লোকজন প্রস্তুত রাখতে হয়। না হলে এই বিজেপি বলবে তৃণমূল লোক দিতে পারেনি। আর গোটা প্রক্রিয়া প্রতিহত করতেও বুথ স্তরে, বিধানসভা স্তরে এই লোক প্রয়োজন। আমরা এসআইআর সমর্থন করছি না। একে রুখব।’’
বিএলএ-১ নিয়োগ হয় বিধানসভাভিত্তিক। কোনও দল জেলাভিত্তিক সেই তালিকা দিতে চাইলেও দিতে পারে। তৃণমূল সূত্রে খবর, অধিকাংশ জেলাই বিএলএ-১ যাঁরা হবেন তাঁদের নাম দলকে পাঠিয়ে দিয়েছে। এর পর দল তাঁদের নামে সিলমোহর দিয়ে কমিশনে পাঠাবে। বিজেপি দেখাতে চাইছে, এসআইআর নিয়ে তৃণমূল মুখে যা-ই বলুক, আসলে তাদের এই প্রক্রিয়া মানতে হচ্ছে। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, কৌশলেই এই প্রক্রিয়ায় থাকছে দল। না হলে বিজেপি ফাঁকা মাঠ (পড়ুন বুথ) পাবে। সেটা তৃণমূল হতে দিতে চাইছে না।