ছ’বছর আগে হারিয়ে যান, অবশেষে আধার নম্বর দেখে নিখোঁজ যুবককে উদ্ধার করল চন্দ্রকোনার পুলিশ
আনন্দবাজার | ৩০ আগস্ট ২০২৫
সালটা ২০১৯। নবম শ্রেণিতে পড়তেন তখন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা সায়ন ঘোষ। সেই বছর ৭ অগস্ট স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি, থানা-পুলিশ করেও কোনও লাভ হয়নি। ছ’বছর পর সেই নিখোঁজ ছাত্রকে খুঁজে বার করে বাড়ি ফেরাল চন্দ্রকোনা ফাঁড়ির পুলিশ। আধার কার্ডের নম্বর ধরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, সায়নের বাড়ি পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানার তুনতুরি গ্রামে। তবে থাকতেন চন্দ্রকোনায় মামার বাড়িতে। সেখান থেকেই পড়াশোনা করতেন তিনি। ২০১৯ সালের ৭ অগস্ট স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি সায়ন। কোনও কারণে মনোমালিন্য হওয়ায় স্কুল থেকেই পালিয়ে যান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই সায়নের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। কিন্তু দিনের পর দিন কেটেছে। সায়ন যেমন বাড়ি ফেরেননি, তেমনই পুলিশও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। অবশেষ ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরাল চন্দ্রকোনা ফাঁড়ির পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দ্রোকানার বাড়িতে সায়নের একটি আধার কার্ড ছিল। সেই আধারের নম্বর ধরে অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করার পর জানা যায়, সেখানে ওড়িশার একটি ঠিকানা রয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই গত ১৩ অগস্ট এ রাজ্যের একটি পুলিশের দল ওড়িশায় যায় এবং সেখানে সায়নের সন্ধান পায়। তার পর সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় চন্দ্রকোনায়। তার পর আদালতে হাজির করিয়ে পরিবারের হাতে তুলেন দেওয়া হয় তাঁকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাড়ি ছাড়ার পর সায়ন বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরেছেন। মন্দিরে রাত কাটিয়েছেন, খাবার খেয়েছেন। পরে ওড়িশার একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। এত দিন পর পুত্রকে কাছে পেয়ে খুশি সায়নের মা নিতা। তবে এত দিন কেন সায়ন বাড়ি ফেরেননি, তা এখনও অজানা তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশায় থাকার সময়ই নিজের ফোন নম্বর এবং আধারের ঠিকানা পাল্টে ফেলেছিলেন সায়ন। যদিও আধার নম্বর পরিবর্তন করতে না পারায় তাঁর খোঁজ পেল পুলিশ।