১১টার পর দফতরে ঢুকলেই পড়বে লাল কালি! মেদিনীপুর পুরসভায় অভিযান চালিয়ে সতর্ক করলেন চেয়ারম্যান
আনন্দবাজার | ৩০ আগস্ট ২০২৫
সকাল ১১টার পর ঢুকলেই হাজিরা খাতায় পড়বে লাল কালি! মেদিনীপুর পুরসভায় হঠাৎ অভিযানের পরেই ঘোষণা চেয়ারম্যান সৌমেন খানের। হেলতেদুলতে বেলা তাঁর নিদান, ১২টার সময় ঢোকার দিন শেষ। ঢুকতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই। আর তা না হলেই হাজিরা খাতায় পড়বে লাল কালি। কড়া বার্তা সৌমেনের।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ পুরসভার বিভিন্ন দফতরে যন সৌমেন। তিনি দেখেন, দফতরের ঘরে লাইট, ফ্যান, এসি চললেও একের পর এক চেয়ার ফাঁকা। দেরিতে যাঁরা প্রবেশ করেন, সেই কর্মীদের কড়া ধমক দেন তিনি। তার পরে নিয়মশৃঙ্খলার পাঠ দেন চেয়ারম্যান। সব দফতর থেকে হাজিরা খাতা তুলে নিয়ে চলে যান নিজের চেম্বারে। মেদিনীপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুরসভায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে কর্মীসংখ্যা প্রায় ১২০০। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি কর্মীই দেরি করে দফতরে যান বলে অভিযোগ। নিজেদের কাজ নিয়ে যাঁরা পুরসভায় আসেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েন। এই নিয়ে তাঁরা অভিযোগ করেন।
পুরসভা সূত্রে খবর, সেই অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার হানা দেন সৌমেন। নির্ধারিত সময়ে দফতরে কাউকে না দেখে তিনি হাজিরার খাতা নিজের ঘরে নিয়ে যান। একে একে কর্মীরা চেয়ারম্যানের ঘরে প্রবেশ করে হাজিরা খাতায় সই করেন বলে খবর। শুক্রবার যাঁরা ১১টা ১৫ মিনিটের মধ্যে দফতরে পৌঁছেছেন, তাঁদের সই করতে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আরও দেরি করে দফতরে যান, তাঁদের সই করতে দেওয়া হয়নি। চেয়ারম্যানের এই পদক্ষেপে খুশি শহরবাসী। স্থানীয় প্রণতি দাস বলেন, ‘‘সকাল ১০টায় পুরসভায় কোনও কাজ নিয়ে এলে, বাড়ি ফিরতে ১টা-২টো বেজে যায়। ১২টার সময় তো কর্মীরা অফিস ঢোকেন। তারপর কাজ শুরু হয়।’’ অভিযোগ, শুধু পুরকর্মী বা আধিকারিকেরাই নয়, পুরসভার কাউন্সিলরেরাও সময়ে এবং নিয়মিত পুরসভায় যান না। সৌমেন বলেন, ‘‘শহরবাসীকে পরিষেবা দেওয়ার জন্যই পুরসভা। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরেই পুরকর্মীদের দেরিতে আসার ফলে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়টি আর বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ রয়েছে, সকলকে সঠিক সময়ে, সঠিক ভাবে পরিষেবা দিতে হবে। সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অফিসে আসতেই হবে।’