‘পাকিস্তানকে জব্দ করতে ফোর্সকে ৫০টি অস্ত্রও ব্যবহার করতে হয়নি’
বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
নয়াদিল্লি: বেছে বেছে পাক সেনঘাঁটিতে নিঁখুত নিশানা। আর তাতেই সফল ‘অপারেশন সিন্দুর’। ভারতীয় বায়ুসেনার ৫০টিরও কম অস্ত্রের আঘাতেই পাকিস্তানের কোমর ভেঙে যায়। আর কোনও পথ না থাকায় একপ্রকার বাধ্য হয়ে গত ১০ মে’র দুপুরে যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয় ইসলামাবাদ। অপারেশন সিন্দুরের মাস তিনেক পর শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন ভাইস চিফ অব এয়ার স্টাফ এয়ার মার্শাল নর্মদেশ্বর তিওয়ারি।
এদিন এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বিস্তারিত জানান বায়ুসেনা আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির টেবলে বসানোর জন্য ৫০ টিরও কম অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বায়ুসেনা। আমাদের কাছে টার্গেটের লম্বা তালিকা ছিল। সেখান থেকেই ৯টি এলাকা বেছে নেওয়া হয়। তারপর একের পর এক হামলাতেই পাকিস্তানের খেল খতম। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, যুদ্ধ শুরু করা খুব সহজ, কিন্তু শেষ করা মোটেও সহজ নয়। তাই সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দিতে তৈরি ছিল বাহিনী।’ ভারতীয় বায়ুসেনার রণনীতি ও কৌশলের জেরেই এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন বায়ুসেনার আধিকারিক। তাঁর কথায়, পাকিস্তানকে জব্দ করার নেপথ্যে রয়েছে ভারতের সুদৃঢ় ‘এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’। যা শত্রুপক্ষের আঘাত সামলে কঠোর প্রত্যাঘাত করতে সাহায্য করেছিল। দিল্লি থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেনার প্রত্যাঘাত যেন সকলের চোখে পড়ে। বুঝিয়ে দিতে হবে, ভবিষ্যতে কোনও হামলা হলে এভাবেই তার জবাব দেওয়া হবে। দিল্লির তরফে নির্দেশ ছিল, যুদ্ধ বড় আকার নিলে স্বাধীনভাবে যে কোনও ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে ভারতীয় সেনা। এর জেরে বিপরীত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে কোনওরকম সমস্যা হয়নি।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁতে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। দিন তিনেক পর ১০ মে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়।