• মোদির গুজরাতে ভুয়ো ভোটার অন্তত ৬২ লক্ষ
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • আমেদাবাদ: সমগ্র গুজরাতে অন্তত ৬২ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সি আর পাতিলের নভসারি কেন্দ্রেই ৩০ হাজার ভুয়ো ভোটার। ভোট চুরি করেই গুজরাতে রেকর্ড জয়লাভ করেছে বিজেপি। এমনই অভিযোগে সরব গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেস। প্রদেশ সভাপতি অমিত ছাবড়ার তোপ, ‘ভোটার তালিকা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম ভিত্তি। সেটাকে নষ্ট করা মানে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করা। গোটা রাজ্যের ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখা হবে। চোরিয়াসি দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। গুজরাতে একজন একাধিক ভোট দেন। তাই ফলাফল বদলে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘চোরিয়াসি বিধানসভা কেন্দ্রটি বিজেপি রাজ্য সভাপতির লোকসভা কেন্দ্র নভসারির অন্তর্গত। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। প্রতি ভোটে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী হন। আমরা একজন বড় নেতার ভোটচুরি প্রকাশ্যে এনেছি। লক্ষ লক্ষ ভোট চুরি করা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।’

    ছাবড়ার দাবি, চোরিয়াসির মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ। তার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটারের তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। অর্থাৎ ২ লক্ষ ৪০ হাজার ভোটার। অভিযোগ, সেখানে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ভুয়ো ভোটারের হদিশ মিলেছে। নাম, বয়স, পদবি, ছবি ও এপিক কার্ড। সবকিছু নিয়েই উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। কীভাবে ভোট চুরি করেছে গেরুয়া শিবির? সেটাও জানিয়েছেন গুজরাত কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। ছাবড়ার দাবি, পাঁচ উপায়ে লাভবান হয়েছে মোদি ব্রিগেড। প্রথমে ভোটারের নাম, পদবি ও ছবি নকল করা হয়। দ্বিতীয়ত ইচ্ছাকৃতভাবে নানের বানান ভুল। একই ভোটারের নামে একাধিক এপিক কার্ড। গুজরাতি ছাড়া একাধিক ভাষায় ভোটার তালিকা প্রকাশ। শেষে নির্দিষ্ট ভোটারের পদবির একটি বা দু’টি অক্ষর বদলে নতুন ভোটার তৈরি। কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ, ‘সি আর পাতিল একজন দায়িত্বশীল নেতা। তাঁরই লোকসভায় এমন ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও মানুষকে সতর্ক করলেন না কেন? ওয়েবসাইট দেখে যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ভুল থাকলে ঠিক করার দায়িত্ব প্রশাসনের।’ আজ এই ইস্যু নিয়ে আমেদাবাদের কালেক্টরের সঙ্গে দেখা করবে গুজরাত কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।
  • Link to this news (বর্তমান)