বিহার: ২৫ আসনে জয়ের মার্জিনের থেকে বাদ পড়া ভোটারের সংখ্যা বেশি, ৩ জেলা থেকে বাদ ১০ লক্ষের বেশি নাম
বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
পাটনা: বিহারে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। আর তার সঙ্গেই প্রতিদিন উঠে আসছে নতুন তথ্য। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, এসআইআরের পর বিহারের ৩৮টি জেলা থেকে মোট ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। কমিশনের দেওয়া তালিকাতেই দেখা যাচ্ছ, পাটনা, মধুবনী ও পূর্ব চম্পারণ-এই তিনটি জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। সংখ্যাটা ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার! শতাংশের হিসেবে ১৬.৩৫ শতাংশ। ওই তিন জেলা মিলিয়ে ৩৬টি বিধানসভা আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি আসনে গত নির্বাচনে জয়ের মার্জিন যত ছিল, তার তুলনায় বাদ পড়া ভোটারের সংখ্যা বেশি! যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ওই আসনগুলির সমীকরণ বদলে যেতে পারে।
তালিকা ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ওই তিন জেলায় বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বেশি। ৫ লক্ষ ৬৭ লক্ষ মহিলা ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। শতাংশের হিসেবে ৫৩.৩৫ শতাংশ। এছাড়া, বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছর। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, যে সব ভোটারদের বয়স ৪০ বছরের কম, তাদের এসআইআরে নাম তোলার জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। কারণ ২০০৩ সালের এসআইআরে ওই ভোটারদের নাম ছিল না। কমিশনের দেওয়া হিসেবই বলছে, ওই তিন জেলায় ৪ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে, যাদের বয়স চল্লিশের নীচে। যা শতাংশের হিসেবে প্রায় ৩৮ শতাংশ। ফলে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে এসআইআর নিয়ে আদৌ আগ্রহ ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে।
বিহারের সবচেয়ে জনবহুল জেলার মধ্যে রয়েছে পাটনা, মধুবনী ও পূর্ব চম্পারণ। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিন জেলার ৩৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি-জেডিইউ জোট জিতেছিল ২২টি আসনে। উল্টোদিকে, বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’ ১৪টি আসনে জয় পায়। ভোটারদের নাম বাদ যাওয়ার জন্য ‘স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত’, ‘মৃত’, ’অনুপস্থিত’ ও ‘ইতিমধ্যে তালিকাভূক্ত’-চারটি কারণের উল্লেখ করেছে কমিশন। দেখা যাচ্ছে, অন্য রাজ্যে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ গিয়েছে। ওই সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯০ হাজার। পাশাপাশি ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ‘মৃত’ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। বিহারেই অন্য বিধানসভা এলাকায় নাম নথিভূক্ত রয়েছে, এমন ১ লক্ষের বেশি ভোটারের নামও বাদ দিয়েছে কমিশন। এছাড়া ২ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটারকে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাওয়া না যাওয়ায় নাম বাদ পড়েছে।