• রাহুলের ভোটার অধিকার রক্ষা যাত্রা: অওধের পর এবার মগধ,বিজেপিকে হারানোর ডাক অখিলেশের
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভোট চুরির অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদবের সভায় শনিবার যোগ দিলেন অখিলেনশ যাদব। বললেন, ২০২৪ সালে উত্তরপ্রদেশের আওধে বিজেপিকে পরাস্ত করা হয়েছে। এবার বিজেপি-আরএসএস পরাজিত হবে মগধে। এই সেই বিহার যেখানে রথযাত্রা আটকে গিয়েছিল ১৯৯০ সালে। এই সেই বিহার, যেখানে বারংবার সংবিধান বাঁচানোর লড়াই হয়েছে। একথা জানিয়ে অখিলেশ যাদব বললেন, তেজস্বী যাদব ও রাহুল গান্ধীকে বিহারে নির্বানী লড়াইয়ে আমরা সার্বিকভাবে সাহায্য করব। কয়েকদিন আগেই রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের বিহারের ভোটার অধিকার যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন এম কে স্ট্যালিন। এবার অখিলেশ। যোগ দিয়েই অখিলেশ জানালেন, নরেন্দ্র মোদি আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন। অথচ নিজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভয়ে সন্ত্রস্ত। শনিবার বিহারের এই যাত্রামঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেছেন, লোকসভা ভোট থেকে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন— বিজেপি ভোট চুরি করে জিতেই চলেছে। কিন্তু আর ভোট চুরি করতে দেওয়া হবে না। বিহারের পর এবার দেশজুড়ে শুরু হবে ভোটার অধিকার রক্ষা যাত্রা। বিজেপির ভোটচুরি বন্ধ করবে ইন্ডিয়া জোট। বিহারের আরা জেলায় ভোটার অধিকার রক্ষা যাত্রায় শনিবার রাহুল গান্ধী বলেছেন, ইন্ডিয়া জোটের ভোটার অধিকার যাত্রা মোদিজিকে নিশ্চিন্তে থাকতে দেবে না। কারণ বিহার থেকে শুরু হবে নতুন অধ্যায়। আগামী দিনে যেখানে ভোট হবে, সেখানে ভোট চুরি বন্ধ করতে নামবে ইন্ডিয়া। 

    বিহারের ভোটার অধিকার যাত্রাকে অনুপ্রবেশকারী বাঁচাও যাত্রার নাম দিয়েছেন অমিত শাহ। রাহুল গান্ধী বলেছেন, ভোট চুরি করার ইস্যুতে বিভ্রান্ত করা যাবে না। বিজেপি চেষ্টা করছে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে। কিন্তু সম্ভব হবে না। সেটা বুঝে প্রবল ভয় পেয়েছে বিজেপি, আরএসএস এবং নির্বাচন কমিশন। কারণ এই জোট ভোট চুরি করে চলেছে প্রথম থেকে। রাহুল বলেছেন, ভোট চোরের সরকার, ভোট চুরি করে প্রধানমন্ত্রী। 

    এদিকে, বিহারের মাধেপুরার রাহিজগৎপুরে একটিমাত্র বুথে ভোটার সংখ্যা ১,০৬৯। বিস্ময়কর হল, প্রত্যেকের ঠিকানা ‘হাউজ নম্বর ৩।’ শনিবার কংগ্রেস ফের নতুন তথ্য এনেছে বিহারের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশনের অনিয়মে। বেশ কিছু পরিসংখ্যান ও তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, বিহারে ২ হাজার ২৪৩ টি এমন ঠিকানা পাওয়া গিয়েছে, যেখানে শতাধিক মানুষ বাস করে।  শতাধিক এরকম ঠিকানার বাড়ি আছে, যেখানে রয়েছে পাঁচ শতাধিক ভোটারের নাম। কংগ্রেসের বক্তব্য, সবথেকে মজার বিষয় হল, এই যে ঠিকানাগুলি লেখা রয়েছে, তার মধ্যে সিংহভাগ ঠিকানার বাস্তবে অস্তিত্বই নেই। নরেন্দ্র মোদি এবং নির্বাচন কমিশনের ভোট চুরির খেলা এভাবেই চলছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। ছবি: পিটিআই
  • Link to this news (বর্তমান)