লাগাতার বৃষ্টিতে হড়পা বান ও ধস, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ! জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলায় মৃত ১১
বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
বিশেষ সংবাদদাতা, শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার মাহোর তহশিলে ভয়াবহ বৃষ্টি ও ধসের জেরে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু। শনিবার সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, এদিন ভোরে ভাদ্দার গ্রামে পাহাড়ের খাঁজে থাকা ওই বাড়ির উপর বোল্ডার ভেঙে পড়ে। তার জেরেই পাথরের নীচে চাপা পড়ে সাতজন প্রাণ হারান। ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নাজির আহমেদ (৩৮), তাঁর স্ত্রী ওয়াজিরা বেগম (৩৫) ও তাঁদের চার ছেলে বিলাল (১৩), মহম্মদ মুস্তাফা (১১), মহম্মদ আদিল (৮) এবং মহম্মদ মুবারক (৫)। যখন ধস নামে তখন তাঁরা সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, যাঁরা পাহাড়ের কোলে বসবাস করছেন, তাঁরা যেন সবসময় সতর্ক থাকেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয় খেয়াল রেখে তবেই যেন তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোন।
অন্যদিকে রামবনে হড়পা বানে অন্তত চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। ধসের নীচ থেকে চারটি দেহই উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অশ্বিনী শর্মা (২৪), তাঁর জামাইবাবু দ্বারক নাথ (৫৫), ভাইঝি বীরতা দেবী (২৬) এবং তাঁদের অতিথি ওম রাজ (৩৮)। অশ্বিনীনির দিদি বিদ্যা দেবী (৫৫)-র খোঁজ চলছে। এছাড়াও আরও পাঁচজন নিখোঁজ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দল ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। পাঁচজন নিখোঁজের সন্ধান চলছে। তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রামবন জেলাজুড়ে নানা প্রান্তে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত। রাজগড় তহশিলের অবস্থা সবথেকে খারাপ।
গত ১৪ আগস্ট থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের নানা জায়গায় বেশ কয়েকবার হড়পা বান ও ধস নেমেছে। এর জেরে এ পর্যন্ত অন্তত ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন ১৪০ জনেরও বেশি। ৩৪ জন তীর্থযাত্রীর এখনও খোঁজ মেলেনি। শনিবার টানা পঞ্চম দিনের জন্য বাতিল করা হয় মাতা বৈষ্ণোদেবীর তীর্থযাত্রা। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির উপর লাগাতার নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।