• ফের চোখ রাঙাচ্ছে গঙ্গা, আতঙ্ক বাড়ছে ভূতনি ও পারদেওনাপুরে
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক ও কালিয়াচক: গঙ্গা নদীর জল বাড়তেই ফের শুরু হয়েছে ভাঙন। প্লাবনের আশঙ্কা বাড়ছে ভূতনি ও পারদেওনাপুরে। এদিকে, রতুয়ার পশ্চিম রতনপুরে গঙ্গার ভাঙনে নতুন রিং বাঁধ প্রায় নিশ্চিহ্ন। বিকল্প হিসেবে অস্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু করল সেচ দপ্তর। এছাড়া, কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারদেওনাপুর শোভপুর এলাকায় ফের শুরু হয়েছে ভাঙন। সকাল থেকেই গোলাপ মণ্ডল পাড়ায় জল ঢোকা শুরু হওয়ায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।

    ভূতনির কেশরপুর থেকে পশ্চিম রতনপুর পর্যন্ত প্রায় ছয় কোটি টাকায় আড়াই কিমি রিং বাঁধ করা হয়। কিন্তু জলস্ফীতির জন্য সেটি প্রায় ধ্বংসের মুখে। গঙ্গার জলোচ্ছ্বাসে প্রতিনিয়ত তলিয়ে যাচ্ছে বাঁধের বিভিন্ন অংশ। গত দু’দিনে প্রায় ২০ সেন্টিমিটার জলস্তর বেড়ে যাওয়া শুরু হয়েছে ভাঙন। শুক্রবার হঠাৎ পশ্চিম রতনপুরের বাঁধের প্রায় বিস্তীর্ণ অংশ গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে যায়। ভাঙন শুরু হতেই মালদহ জেলা সেচ দপ্তর তড়িঘড়ি বালির বস্তা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে, বাঁধের বিস্তীর্ণ অংশ ধসে যাওয়ায় নতুন রিং বাঁধের উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হওয়ার মুখে। পশ্চিম রতনপুরে ভাঙনের পর বাঁধে বসবাসকারীরা আতঙ্কে পালাচ্ছেন নিরাপদ জায়গায়। 

    দুর্গত রজনী চৌধুরীর কথায়, গঙ্গায় বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এখন বাঁধও গিলতে বসেছে নদী। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় আমবাগানে আশ্রয় নিতে হয়েছে। 

    গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের আশঙ্কায় বিকল্প হিসেবে আরও দু’টি অস্থায়ী রিং বাঁধের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। পাইলিংয়ের মাধ্যমে রিং বাঁধ থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে পশ্চিম রতনপুর থেকে বসন্তটোলা পর্যন্ত প্রায় ছ’শো মিটার বাঁধের কাজ শুরু করেছে। 

    মালদহ জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গঙ্গা ও কোশী নদীর চাপে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে রিং বাঁধ। গঙ্গার জল যাতে ভূতনিতে না ঢোকে, তার জন্য এই অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে।          

    কালিয়াচক-৩ ব্লকের পারদেওনাপুর শোভাপুরের গোলাপ মণ্ডল পাড়ার কাটা অংশ দিয়ে গঙ্গার জল ঢুকতে শুরু করেছে। যার ফলে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শোভাপুরে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম হাবিব রঞ্জন সরকার বলেন, কিছুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ও গঙ্গার জল কমে যাওয়ার পর একটু আশঙ্কা কমেছিল। শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতির ফের অবনতি হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা ফের ভেসে যাব।
  • Link to this news (বর্তমান)