• উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী এশিয়ান হাইওয়ে অচল
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: শুক্রবার রাত থেকে তীব্র যানজটের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগকারী আলিপুরদুয়ারের লাইফ লাইন ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক অচল হয়ে পড়েছে। বীরপাড়ার কাছে হড়পা বানে ধসে যাওয়া গ্যারগেন্দা সেতুর দু’পাশে কয়েক হাজার বাস, লরি ও ছোট গাড়ির লাইন পড়েছে রাত থেকে। গয়েরকাটার কাছে তেলিপাড়া থেকে বীরপাড়া ও রাঙালিবাজনা হয়ে মাদারিহাট পর্যন্ত  ২০ কিমি রাস্তায় সারি সারি গাড়ির লাইন। শনিবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট কাটেনি। ফলে বীরপাড়া ও মাদারিহাট থানার পুলিসকে যানজট কাটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

    তিন মাস আগে গ্যারগেন্দা নদীর হড়পা বানে গ্যারগেন্দা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড ও সেতুর মাঝে একটি পিলার বসে যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট হাইওয়ে সড়ক কর্তৃপক্ষ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর পাশে অস্থায়ী ডাইভারশন তৈরি করেনি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পুলিসকে ওই রাস্তার এক লেন দিয়ে গাড়ি পারাপার করাতে হচ্ছে। কিছু গাড়িকে বীরপাড়া ও মাদারিহাট চৌপথি থেকে ফালাকাটা দিয়ে ২৪ কিমি ঘুরপথে চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

    এতদিন এভাবেই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি বেহাল সেতুর দুই পাশে স্পিড ব্রেকার দেওয়ায় বিপত্তি তৈরি হয়েছে। ওই স্পিড ব্রেকারের জন্য সেতুর দুই পাশে যানবাহনের গতি অসম্ভব ভাবে থমকে গিয়েছে। যার দরুন কয়েক দিন ধরে সেতুর দু’পাশে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। আর সেই যানজট শুক্রবার রাত থেকে রেকর্ড করল। তেলিপাড়া থেকে মাদারিহাট পর্যন্ত ২০ কিমি রাস্তায় সারি সারি যানবাহনের লাইন পড়ে গিয়েছে। এই যানজট কবে কাটবে তা কেউ জানে না। 

    বীরপাড়া থানার ওসি নয়ন দাস বলেন, ছোট গাড়িগুলির কারণেই ওই সেতুতে তীব্র যানজট হচ্ছে। ছোট গাড়িগুলি একটু ফাঁকফোঁকর পেলেই ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফালাকাটা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হলেও ভারী লরিগুলিও ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে। ফলে গ্যারগেন্দা সেতুতে যানজট সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।

    অ্যাপ্রোচ রোড সহ ওই বেহাল সেতু মেরামতে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজের টেন্ডারও হয়েছে। কিন্ত তারপরেও সেতু মেরামতের কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। এবিষয়ে ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রমেন মণ্ডল বলেন, সেতুর পিলার মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাজ থমকে গিয়েছে। বৃষ্টি একটু কমলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেতু মেরামতের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)