• ‘আমাদের সমাধান’ শিবিরে সিপিএম-তৃণমূল হাতাহাতি
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: শনিবার মাল ব্লকের তেশিমিলায় ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমেই তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মাল থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিকের নেতৃত্বে পুলিস বাহিনী। পুলিসের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সিপিএম কর্মীরা মাল- বড়দিঘি রাজ্য সড়ক  অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ। তার মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পরে বিকেল ৪টা নাগাদ স্বাভাবিক হয়। 

    জানা গিয়েছে, এদিন তেশিমিলায়  ২০/১৩৮-৩৯-৪০ বুথ সিপিএমের দখলে রয়েছে। এই তিন বুথের পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য সিপিএমের। এদিন ওই এলাকায় স্থানীয় বিএফপি স্কুলে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবির বসেছিল। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট ভিডিও তৌফিক আলি। শিবিরে স্থানীয় সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যদের পক্ষ থেকে বেশকিছু সমস্যা নিয়ে সমাধানের দাবি জানিয়ে তালিকা দেওয়া হয়। সেই তালিকায় পক্ষপাতিত্ব হয়েছে অভিযোগ জানান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এনিয়ে পরস্পর বাদানুবাদ শুরু হয়। বাদানুবাদ হাতাহাতিতে রূপান্তরিত হলে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই সময় দুই কর্মীকে পুলিস আটক করলে সিপিএম পথ অবরোধ শুরু করে। পরে পুলিসের গাড়ি থেকে এক প্রকার ওই দুই কর্মীকে ছাড়িয়ে আনেন অন্যরা। 

    সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা অরবিন্দু রায় বলেন, আমরা বিরোধীদের বলেছিলাম সবাই আসুন একসঙ্গে মিলে এলাকার সমস্যার সমাধান করি। কিন্তু বিরোধীরা আমাদের কথা শোনেনি। পরে আমরা যখন সমস্যা বিষয়ক তালিকা দিই তখন তৃণমূল কর্মীরা এসে ঝামেলা করেন। এতেই বিবাদ সৃষ্টি হয়।  যুব তৃণমূলের মাল ব্লক সভাপতি তথা স্থানীয় বাসিন্দা আরমান আরশাদ বলেন, আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান সরকারি কর্মসূচি। এখানে সাধারণ মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ  জানাবে এটাই নির্দেশ। কিন্তু সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যরা মানুষের কথা অগ্রাহ্য করে নিজেরাই একটা তালিকা দিয়েছেন। সেখানে মানুষের সমস্যার কথা নেই। তৃণমূলের কর্মীরা এর প্রতিবাদ করেছেন। মাল মহকুমা শাসক শুভম কুণ্ডাল বলেন, সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। পরে ঠিক হয়ে গিয়েছে। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)