• ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী কমিউনিটি হেলথ অফিসার, বিক্ষোভ
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ শ্যামচক স্টেশনের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন এক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ ও মানসিক হেনস্তার কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন পাঁশকুড়ার সিএইচও (কমিউনিটি হেলথ অফিসার) সুস্মিতা সামন্ত (৩১)। এদিন খড়্গপুরে ভাড়াবাড়ি থেকে পাঁশকুড়া আসার পথে শ্যামচক স্টেশনে নেমে একটি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ময়না থানার দোনাচক গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। বাপের বাড়ি হাওড়ার মৌড়িগ্রামে। গত চার মাস শ্বশুরবাড়ির লোকজন সবাই খড়্গপুরে ভাড়াবাড়িতে এসে উঠেছিলেন। সুস্মিতার একমাত্র ছেলের পড়াশোনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবার। সুস্মিতাদেবীর শ্বশুর রমেশচন্দ্র দাসের অভিযোগ, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ ও হেনস্তার কারণে তাঁর পুত্রবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। একই অভিযোগে পাঁশকুড়া ব্লকের বহু সিএইচও এবং এএনএম কর্মী শনিবার পাঁশকুড়ার উত্তর মেচগ্রামে ব্লক স্বাস্থ্যবিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখান।  

    পাঁশকুড়া ব্লকের মাগুরী জগন্নাথচক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় ছ’বছর ধরে সিএইচও পদে ছিলেন সুস্মিতা। প্রতি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন সিএইচও, একজন ফার্স্ট এএনএম ও একজন সেকেন্ড এএনএম থাকার কথা। যদিও পাঁশকুড়া ব্লকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে সেকেন্ড এএনএম নেই। মাগুরী জগন্নাথচক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্স্ট এএনএম-ও নেই। তাই সিএইচও সুস্মিতার উপর প্রচণ্ড কাজের চাপ ছিল। তবে তাঁর কিছু মানসিক সমস্যার চিকিৎসা চলছিল। অভিযোগ, ছ’মাস আগে পাঁশকুড়ায় সিএইচওদের নিয়ে মিটিংয়ে কাজের ‘টার্গেট’ পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে প্রচণ্ড হেনস্তা করা হয়। এমনকী, ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে তাঁকে ‘ডিমোশন’ করিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ‘মাতৃমা পোর্টালে নাম তোলার ক্ষেত্রে ওই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র পিছিয়েছিল। কাজে গতি আনতে বলা হয়েছিল। ওঁর মানসিক সমস্যা থাকায় আমাদের একজন স্টাফও আসা যাওয়ার পথে তাঁর সঙ্গী হতেন। তারপরও এই ঘটনা ঘটল। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
  • Link to this news (বর্তমান)