• তারাপীঠে ধৃতদের কাছ থেকে সোনার হার, মোবাইল উদ্ধার
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: এদেশের বড় ধর্মীয় উৎসব বা মেলাকে টার্গেট করত ‘নেপাল গ্যাং’। তারাপীঠে ধৃতদের জেরা করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিস। পাশাপাশি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কৌশিকী অমাবস্যায় ছিনতাই হওয়া সাতটি সোনার হার ও পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করল পুলিস। গ্যাংয়ের বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।

    তারাপীঠে সবচেয়ে বড় উৎসব কৌশিকী অমাবস্যা। এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রতি বছর ভিড়ের সুযোগে হাতসাফাই করতে এই জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যের চোর, ছিনতাইবাজদের ঠিকানা হয়ে ওঠে এই তীর্থভূমি। এর আগে কৌশিকী অমাবস্যার সময় হাতসাফাই করেছিল ব্যান্ডেল গ্যাংয়ের মহিলা সদস্যরা। একেবারে ফিল্মি কায়দায় নিখুঁত অপারেশন করেছিল তারা। তবে এবারই প্রথম ভক্ত সেজে হানা দিয়েছিল ‘নেপাল গ্যাং’। ভিড়ের মাঝে পুণ্যার্থীদের গলা থেকে হার ছিনতাইয়ের পাশাপাশি পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে নেয়। পরে পুণ্যার্থীরা ছিনতাই হয়েছে বলে টের পান। কৌশিকী অমাবস্যার পরের দিন থানায় এরকম বেশকিছু অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিস তদন্তে নেমে বিজয় রায়, উপেন্দ্রকুমার রায়, সুরেশ পাসোয়ান ও শান্তনু তোলে নামে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। বিজয়ের বাড়ি নেপালের সাবেতে, উপেন্দ্র নেপালের লক্ষ্মীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। সুরেশের বাড়ি বিহারের বেতিয়া জেলায়। হুগলির বাসিন্দা শান্তনু। তারা রীতিমতো মাথায় তিলক কেটে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে অপারেশন চালায় বলে অভিযোগ। গত ২৪ আগস্ট ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাদের জেরা করে পুলিস পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া সাতটি সোনার হার ও পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করে। দেশের বড় মেলা ও কলকাতায় দুর্গাপুজোর ভিড়ে মিশে সাধারণ মানুষের গয়না, টাকা ও মোবাইল চুরি করে গা ঢাকা দিত তারা। কয়েক মাস আগে প্রয়াগরাজের মেলাতেও হানা দিয়েছিল তারা। সেখানে পার পেয়ে গেলেও কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে হাতসাফাইয়ে এসে শেষরক্ষা হল না তাদের। 

    পুলিস সূত্রের দাবি, এদের মধ্যে সুরেশ ও শান্তনু বিহার ও ব্যান্ডেল গ্যাংয়ের সদস্য ছিল। তারাও এখন উপেন্দ্রর হাত ধরে নেপাল গ্যাংয়ে শামিল হয়েছে। এরাজ্যে অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে নেপালে গা ঢাকা দিত। সেখানেই উপেন্দ্র ও বিজয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। পুলিস জানিয়েছে, এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে। তাদের খোঁজ পাওয়া গেলে চুরি যাওয়া আরও বেশকিছু সামগ্রী উদ্ধার করা সম্ভব হবে। বর্তমানে এই চার অভিযুক্তের ঠাঁই হয়েছে রামপুরহাট সংশোধনাগারে।
  • Link to this news (বর্তমান)