বাংলাদেশি কিশোরীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা, ৩ দালালের জেল
বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কাজের টোপ দিয়ে ১৪ বছরের এক বাংলাদেশি কিশোরীকে শহরের নিষিদ্ধপল্লিতে এনে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হয়। ওই ঘটনায় তিন দালালকে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত। দোষী সাব্যস্ত তিন দালালের নাম কাজি মহিউদ্দিন, শিউলি বেগম ও সীমা গাজি। শনিবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিম্পা রায় এই আদেশ দিয়েছেন। বিচারক ওই সাজার সঙ্গে জরিমানারও নির্দেশ দেন। অন্যান্য অভিযোগেও অপরাধীদের পৃথক সাজা ও জরিমানা করা হয়। তবে সমস্ত সাজা একইসঙ্গে চলবে। পাশাপাশি আদালত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই নির্যাতিতাকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য লিগ্যাল এইডকে নির্দেশ দেয়।
মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ জানান, ২০১৩ সালে বাংলাদেশি ওই কিশোরীকে কাজের টোপ দিয়ে দালাল মারফত প্রথমে বড়তলা এলাকার এক নিষিদ্ধপল্লিতে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হয়। কিশোরীর খোঁজখবর শুরু হলে পরে তাকে কলকাতার মুন্সিগঞ্জ এলাকার এক নিষিদ্ধপল্লিতে একই কাজে নামানো হয়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস সেখান থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিস একে একে এই ঘটনায় যুক্ত তিন দালালকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তকারী পুলিস অফিসার তন্ময় বিশ্বাস একাধিক ধারায় আদালতে চার্জশিট পেশ করেন। সাক্ষ্য দেন ১৬ জন। অবশেষে বিচারক তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, এই মামলায় উদ্ধার হওয়া কিশোরীটির সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।